রাজধানীসহ সারাদেশে আগামীকাল (বুধবার) থেকে আরও নয় জোড়া আন্তঃনগর এবং ১০ জোড়া কমিউটার (লোকালসহ) মোট ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এ নিয়ে আন্তঃনগর ট্রেনের সংখ্যা ৩৭ জোড়া এবং কমিউটার ট্রেনের সংখ্যা ১৪ জোড়া দাঁড়াবে অর্থাৎ সারাদেশে আগামীকাল বুধবার থেকে শতাধিক ট্রেন চলাচল করবে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিক সংখ্যক যাত্রী ট্রেনে যাতায়াতের সুযোগ পাবেন।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেড় মাসেরও বেশি সময় ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বর্তমানে ২৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং চার জোড়া কমিউটার (লোকালসহ) ট্রেন চলাচল করছে। ট্রেনের মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিট এতদিন শুধুমাত্র অনলাইনে বিক্রি হতো। কিন্তু গত ৪ জুন থেকে কাউন্টারে ৮ জুন ও তার পরবর্তী তারিখের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে ট্রেনের মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিটের অর্ধেক অর্থাৎ ২৫ শতাংশ অনলাইনে ও ২৫ শতাংশ সরাসরি বিক্রি শুরু হয়।
তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রির ফলে ট্রেনের ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ট্রেনে যাতায়াতের জন্য বিপুল সংখ্যক যাত্রীর চাহিদা থাকায় অনেক যাত্রী ট্রেনে ভ্রমণের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও টিকিট পান না। তিনি জানান, আগামীকাল থেকে অতিরিক্ত আরও নয় জোড়া আন্তঃনগর এবং ১০ জোড়া কমিউটার ট্রেন চলবে। এতে অধিক সংখ্যক যাত্রী ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সরেজমিনে কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, আন্তঃনগর ট্রেনের বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা কাউন্টারে আজকের (৮ জুন) এবং পরবর্তী দিনগুলোর আগাম টিকিট সংগ্রহের জন্য ভিড় করছেন। আগাম টিকিট পাওয়া গেলেও আজকের টিকেট শেষ হয়ে গেছে বলে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে।
লালবাগের বাসিন্দা সোলেমান স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ময়মনসিংহ যাবেন বলে স্টেশনে এসেছেন। কিন্তু কাউন্টার থেকে তাকে বলা হয়েছে টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তিনি জানান, কমলাপুর রেল স্টেশনে কিছু যাত্রী বিভিন্ন কারণে শেষ মুহূর্তে যাত্রা বাতিল করে কম দামে টিকেট বিক্রি করে দেন। সেই ধরনের কোনো বিক্রেতা পান কি-না তা দেখতে তিনি অপেক্ষা করছেন।
মোহনগঞ্জ আন্তঃনগর ট্রেনে এসি কোচের যাত্রী আবদুল বারেক নামে এক ড্রাইভার জানান, বাবা ও স্ত্রীকে নিয়ে গৌরীপুর যাবেন। স্টেশনে এসে দেখেন টিকিট নেই। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে যখন চলে যেতে রওনা দিচ্ছিলেন তখন টিকিট কাউন্টার থেকে মোহনগঞ্জের তিনটি এসি কোচের টিকিট রয়েছে বলে জানায়। যদিও তিনি গৌরীপুর নামবেন কিন্তু তাকে মোহনগঞ্জের টিকিটের দামই দিতে হবে বলে জানান। তিনটি টিকিট এক হাজার ৩০০ টাকায় কিনেছেন। বাসে যেতে বড় জোর ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা লাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এসি কোচে আরাম করে যাব, টাকা যায় বেশি যাক।