তিন পার্বত্য জেলায় অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের মাধ্যমে শক্তিশালী প্রযুক্তিগত যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার কাজে হাত দিয়েছে সরকার। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৬তম বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্পটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করতে হবে। আমাদের কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে। তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগ কজটি করবে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, পার্বত্য তিন জেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে ফাইবার অপটিকাল স্থাপনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এই দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের অধীন পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি জেলায় (বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি) মোট ৫৯টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের ইউনিয়নগুলো অতিদুর্গম বিধায় নিরাপত্তা ঝুঁকি ও পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতার কথা বিবেচনা করে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ছয়টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের দু’টি, জননিরাপত্তা বিভাগের একটি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল।
জননিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের জন্য একটি ‘ভেহিক্যাল মাউন্ডেট মোবাইল ইন্টারসেপটর অ্যান্ড রিলেটেড সার্ভিস’ সেবাটি সুইজারল্যান্ডের তরু গ্রুপের স্থানীয় এজেন্ট স্মার্ট এসসিএম সল্যুশনের কাছ থেকে ৬৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪০ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবে ঢাকা ওয়াসার রামপুরা থেকে ভাটারা হয়ে এয়ারপোর্ট রোড, উত্তরা, গুলশান, বনানী, কচুক্ষেত পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পরিশোধিত পানির সঞ্চালন লাইন স্থাপন কাজ চায়না জিও ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে দেওয়া হয়।