পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘হাকালুকি হাওরের উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে একটি কেবল কার এবং জুড়ীর লাঠিটিলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সাফারি পার্ক স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, ‘এগুলো এক সময় আমাদের স্বপ্ন ছিল। দেশ হিসেবে উন্নত হয়েছি বলেই এগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য দেশ-বিদেশের মানুষ এখানে আসবেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীর মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বৃক্ষহীন পাহাড়কে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। সরকার এ বছর আট কোটি গাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। জনগণকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকে তিনটি করে গাছের চারা লাগালে প্রতি বছর প্রায় পঞ্চাশ কোটি গাছ লাগানো সম্ভব। গাছের চারা লাগালেই হবে না। এগুলোর পরিচর্যা করতে হবে। তিন বছর পর্যন্ত পরিচর্যা করলে গাছ নিজে থেকেই বড় হতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, যত বেশি গাছ লাগানো হবে, বাতাস তত বেশি ঠান্ডা হবে, পরিবেশ বাসযোগ্য থাকবে। সুন্দরবন আমাদের অনেক বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে রক্ষা করে। সারাদেশে সুন্দরবনের মতো গাছ লাগাতে পারলে আমরা সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারব। মন্ত্রী এ সময় এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের স্লোগান ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ অনুসরণ করে সবাইকে অধিক হারে গাছ লাগানোর অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, আজ অনুষ্ঠানে সামাজিক বনায়নে ১২৯ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ হিসাবে ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৭২ টাকার লভ্যাংশ এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ হিসাবে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৬০ টাকার লভ্যাংশ মোট ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৯৩২ টাকা বিতরণ করা হয়। এর আগে একই স্থানে মন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিলের ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকার চেক, মসজিদ-মন্দিরে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার অনুদানের চেক এবং উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিল হতে সেলাই মেশিন এবং মাছের পোনা বিতরণ করা হয়।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দীন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. প্রণয় কুমার দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।