পয়েন্ট টেবিলে বেশ ওপরের দিকেই প্রাইম দোলেশ্বরের অবস্থান। আজ আবাহনীকে হারাতে পারলে অবস্থার আরও উন্নতি হবে। কিন্তু শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ফরহাদ রেজার দলের ব্যাটিং দেখে মনেই হলো না, তাদের আরও ওপরে যাবার কোনো ইচ্ছে আছে।
দলটি যে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে আছে, তাদের শরীরী ভাষা দেখে মোটেই মনে হয়নি। প্রতিপক্ষ আবাহনী বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরানো এবং ২০ ওভার শেষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার সেই তাগিদটাই খুঁজে পাওয়া গেল না।
শুরু থেকে প্রায় একই ছন্দ ও লয়ে ব্যাটিং করা প্রাইম দোলেশ্বরের ব্যাটসম্যানরা খেললেন নিরাপদ ক্রিকেট। আবাহনীর শক্তিশালী ও ধারালো বোলিংয়ের বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে‘তে ৫০-৬০ রান তুলে ফেলার চেষ্টা ছিল না। কেউ একটু ঝুঁকি নিয়ে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটও ছুড়লেন না।
তরুণ ওপেনার ইমরানউজ্জামান আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামরত সাইফ হাসান ছাড়া আর কারও ব্যাট হাসেনি। কথাও বলেনি। ওপেনার সাইফ ইনিংসের টপ স্কোরার। ফিফটি করেছেন জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলা এ ওপেনার। তার ব্যাট থেকে বেরিয়ে এসেছে ৪৯ বলে ৫৮ রানের এক ইনিংস। যার ৩৬ রানই এসেছে শুধু ছক্কা থেকে। একটি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাইফ।
তার মানে ৭ বল থেকেই ৪০ রান তুলেছেন এই ওপেনার। অথচ বাকি ১৮ রান করতে খেলেছেন দ্বিগুণের বেশি, ৪২ বল। দোলেশ্বরের ব্যাটসম্যানরা কতটা খোলসে ঢুকে গিয়েছিলেন এই হাফসেঞ্চুরিয়ানকে দেখেই অনুমান করা যায়।
তবুও যত কৃতিত্ব সাইফকেই দিতে হয়। কারণ প্রাইম দোলেশ্বর যেখানে পৌঁছেছে, সেটা সাইফের হাত ধরেই। ২০ ওভার শেষে দোলেশ্বরের রান ৯ উইকেটে ১৩২। যার প্রায় অর্ধেক সাইফের।
পুরো ইনিংসে আর দু’জন মাত্র ব্যাটসম্যান রান করেছেন। একজন ওপেনার ইমরানউজ্জামান। আর অন্যজন মার্শাল আইয়ুব। ওপেনার ইমরানউজ্জামান শুধু ১৪৩.৭৫ স্ট্রাইকরেটে ১৬ বলে ২৩ করেছেন। আর মার্শাল আইয়ুব ২০ করলেও স্ট্রাইকরেট ছিল ওয়ানডের মত ( ৮৬.৯৫)।
আবাহনী বোলাররা যে আহামরি বোলিং করেছেন, তা নয়। কারও বলে আগুন ঝরেনি। তবে মেহেদি হাসান রানাকে একটু আলাদা করে চেনা গেছে। আকাশিদের সফলতম বোলারও এ বাঁহাতি পেসার। ২৮ রানে ৩ উইকেট দখল করেছেন।
অপর পেসার তানজিম সাকিবের ঝুলিতে জমা পড়েছে ২ উইকেট (২৬ রানে)। এছাড়া পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি ও অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
আবাহনী বোলারদের মধ্যে একজনই কোনো উইকেট পাননি। ২ ওভারে দিয়েছেন ২৪ রান। তিনি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। এই লেগস্পিনারের বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাইফ।