‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কি তবে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু হয়ে দেখা দিলেন?’ কেউ অমন কথা বললে কি ভুল হবে? ইতিহাস জানাচ্ছে, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে শুরুতে দলে না থেকেও পরে ঢুকে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের নায়ক হয়েছিলেন এখনকার প্রধান নির্বাচক। এবার মাহমুদউল্লাহও ঠিক একইভাবে টেস্ট দলে আসলেন। শুরুতে ছিলেন না, শেষ মুহূর্তে অন্তর্ভূক্তি। সেই মাহমুদউল্লাহই হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চরম বিপর্যয়ে ত্রাণকর্তার ভূমিকায়।
৩৫ বছর বয়সী রিয়াদ যে প্রক্রিয়ায় আবার টেস্ট দলে, সেটা সঠিক ও স্বচ্ছ নয়। তা নিয়ে কথা বলছিলেন কেউ কেউ। একদম বাইরে থেকে কেন তাকে নেয়া হলো, তা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। তবে বাংলাদেশে সব কিছু নিয়ম মেনে আর সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হয় না। যদি তাই হতো, তাহলে ৯৯‘র বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার পর নির্বাচকদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আর বোর্ডে রীতিমত অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে নেয়া হতো না।
ইতিহাস জানাচ্ছে, প্রথমবার বাংলাদেশ দল যে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল, সেই স্কোয়াডে ছিলেন না নান্নু। পরে অনেক ঘটনা, রটনা ও নাটকীয়তার পর তাকে দলে নেয়া হয়। আর নান্নুও বিশ্বকাপে গিয়ে বাজিমাত করেন। স্কটল্যান্ডের সাথে দলের চরম বিপর্যয়ে হাল ধরে দল জেতাতে রাখেন অগ্রণী ভূমিকা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম জয়ের নায়ক হয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠে নান্নুরই হাতে।
এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে মাহমুদউল্লাহর অন্তর্ভুক্তিও যেন প্রায় একইরকম। তিনি টেস্ট দলে ছিলেন না গত ১৮ মাস। শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে।