খেলাধুলায় কাকতালীয় ঘটনার দেখা মেলে হরহামেশাই। প্রায়ই দেখা যায় ঐতিহাসিক কোনো ঘটনার সঙ্গে মিলে গেছে বর্তমানের যেকোনো কীর্তি। ঠিক তেমনই এক কাকতালের দেখা মিলল এবার বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বেলায়।
বর্তমান সময় তো বটেই, ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ফুটবলার এ দুজন। ক্লাব ফুটবলে তাদের রয়েছে ভুরি ভুরি সাফল্য। ব্যক্তিগত কিংবা দলীয়- প্রাপ্তির ভাণ্ডার যেন উপচে পড়ার অবস্থা মেসি-রোনালদোর। কিন্তু ২০১৬ সালের আগে দুজনেরই ছিল আন্তর্জাতিক শিরোপা না জেতার আক্ষেপ।
আজ থেকে ঠিক ৫ বছর আগে ১১ জুলাই তারিখে ইউরো কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রোনালদোর পর্তুগাল। যা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রোনালদোর প্রথম শিরোপা। এরপর ২০১৯ সালে উয়েফা ন্যাশনল লিগের শিরোপাও জিতেছে রোনালদোর পর্তুগাল।
রোনালদোর ইউরো জেতা ফাইনাল ম্যাচের ঠিক ৫ বছর পর এবার ১১ জুলাই তারিখে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হলো আর্জেন্টিনা। বলা বাহুল্য, এটিও মেসির ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা। অর্থাৎ দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবলারের শিরোপা আক্ষেপ ঘুচল একই তারিখে।
তবে আন্তর্জাতিক সূচি মোতাবেক, দুইটি ম্যাচই হয়েছে ১০ জুলাই তারিখে। ২০১৬ সালের ১০ জুলাই ফ্রান্সের সময় রাত ৯টায় শুরু হয়েছিল ফ্রান্স ও পর্তুগালের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি। কিন্তু বাংলাদেশের সময়ে সেই ম্যাচের শুরুর ক্ষণ ছিল রাত ১টা। তাই বাংলাদেশের হিসেবে সেই ম্যাচ হয়েছে ১১ জুলাই।
একইভাবে আজকের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হয়েছে ব্রাজিল সময় অনুযায়ী ১০ জুলাই রাত ৯টায়। কিন্তু ৯ ঘণ্টা এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশে ম্যাচটি শুরুর সময় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জুলাই সকাল ৬টা। অর্থাৎ বাংলাদেশ সময়ে ১১ জুলাই তবে আয়োজক দেশের হিসেবে ১০ জুলাই তারিখে মিটেছে মেসি-রোনালদোর শিরোপা আক্ষেপ।
নিজ দলকে ইউরো জেতানোর পথে ২০১৬ সালের আসরে ৩ গোল করেছিলেন রোনালদো। ফাইনালের শুরুতেই ইনজুরিতে ছিটকে না পড়লে হয়তো গোল আরও বাড়ত তার। তবে পুরো আসরে উদ্ভাসিত পারফরম্যান্সের সুবাদে জায়গা করে নিয়েছিলেন আসরের সেরা একাদশে।
আর এদিকে ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে মেসি করেছেন ৪ গোল ও ৫ এসিস্ট। আসরে সর্বোচ্চ গোল ও সর্বোচ্চ এসিস্ট- দুটিই মেসির। যার সুবাদে এবারের কোপার গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল- উভয়ই গেছে মেসির হাতে।