এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১০ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৪ নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িকে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর ইস্কাটন গার্ডেন, পরিবাগ ও বাংলামোটরে মাহফুজুল আলম মাসুম, অঞ্চল-২ এর বাসাবোতে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অঞ্চল-৩ এর হাজারীবাগে তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অঞ্চল-৫ এর ডিআইটি রোডের ঢালকানগরে মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া, অঞ্চল-৬ এর আমুলিয়ায় শাহীন রেজা, অঞ্চল-৮ এর সারুলিয়া, ডেমরায় কাজী হাফিজুল আমিন, অঞ্চল-৯ এর শেখদী, যাত্রাবাড়ীতে বিকাশ বিশ্বাস এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর এলিফ্যান্ট রোড ও সেগুনবাগিচায় মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৪ এর শাখারী পট্টিতে হায়দার আলী এবং অঞ্চল-১০ এর কদমতলি এলাকায় মামুন মিয়া এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসমূহ এ সময় ৩২৯টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং মোট ২৪টি নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ২৪টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে সর্বমোট ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, “মশক নিয়ন্ত্রণে আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান এবং গণমাধ্যমের সচেতনতামূলক সংবাদ প্রচার অব্যাহত থাকার পরেও আমরা এখনও মানুষের নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িতে বিশেষ করে গ্যারেজে, ছাদে এবং কবুতর, বিড়াল ও কুকুরের মতো পোষা প্রাণীর খাবারের পাত্রে মশার লার্ভা পাচ্ছি। তাই ডেঙ্গু মোকাবিলায় নগরবাসীকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”
আগামীকালও ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০টি অঞ্চলে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। অভিযানের পাশাপাশি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।