এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি হওয়ার কথা ছিল ভারতের মাটিতে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আসরটি শুধু এক বছর পিছিয়েই যায়নি, বদলে গেছে ভেন্যু। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে আরব আমিরাত ও ওমানে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর।
আর এমনটা হওয়ায় পরোক্ষভাবে নিজেদের লাভই দেখছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজম। তার মতে, বিশ্বকাপটি এখন অনেকটা তাদের হোম ভেন্যুতেই হবে। কেননা প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে আরব আমিরাতেই নিজেদের সিরিজগুলো আয়োজন করে আসছে পাকিস্তান।
আইসিসি প্রকাশিত এক বার্তায় বাবর বলেছেন, ‘পাকিস্তানের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরটি অনেকটা হোম ইভেন্টের মতোই। কারণ প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে আরব আমিরাত আমাদের হোম ভেন্যু। আমরা আমিরাতে নিজেদের পরিচর্যাই করিনি শুধু, সেখানে বড় বড় দলগুলোকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষেও উঠেছি।’
আগামী ২৪ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ যাত্রা। এরপর ২৭ অক্টোবর আফগানিস্তান ও ২৯ অক্টোবর রয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ। এছাড়া প্রথম রাউন্ড থেকে আসা দুইটি দলের বিপক্ষেও খেলবে পাকিস্তান।
এ বিষয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, ‘এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম। এখন বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণাটি আমাদের প্রস্তুতি আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের মাধ্যমে আমরা এখন বাকি থাকা সময়টা কাজে লাগাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দলের সবাই অনেক বেশি রোমাঞ্চিত ও অনুপ্রাণিত বিশ্বকাপের জন্য। তারা প্রত্যেকে এটিকে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের বড় মঞ্চ হিসেবে দেখছে। যা আমাদেরকে সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে সেরাদের কাতারে বসাবে। আর (আমিরাতের) এমন কন্ডিশন আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে।’
অধিনায়ক হিসেবে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে বাবর বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত দিক থেকে চিন্তা করলে অধিনায়ক হিসেবে এটিই আমার প্রথম বড় আসর। আমি ২০১৭ সালে (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) সাফল্য দেখেছি আবার ২০১৯ সালে (ওয়ানডে বিশ্বকাপ) হতাশাও পেয়েছি। এশিয়ার মাটিতে শিরোপা জেতার জন্য আমার দলকে সবসময় উজ্জীবিত করব আমি।’