উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি-বন্যায় আনুমানিক ৩৪ জনের প্রাণহানি
তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্য। সেখানে অন্তত ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় বাড়ি-ঘর তলিয়ে এবং ধ্বংসাবশেষের নিচে লোকজন আটকা পড়ায় প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
উঁচু একটি মাঠ থেকে পানির সঙ্গে থাকা পাথর এসে নিচে অবস্থানরত মানুষদের ওপর পড়লে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া রাজ্যের চম্পাবত জেলায় একটি বাড়ি ধসে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। এখানে চালতি নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি সেতু উপচে পড়া পানির তোড়ে ভেসে গেছে।
‘ঘরবাড়ি, সেতু ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চালাতে তিনটি হেলিকপ্টার (সেনাবাহিনীর) মোতায়েন করা হয়েছে,’ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এমনটি বলেছেন বলে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।
বিখ্যাত মল রোড, নয়না দেবী মন্দির বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কেদারনাথ মন্দির থেকে ফেরার পথে আটকা পড়া ২২ জন তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ অবস্থায় হিমালয়ের কোলঘেঁষা অঞ্চলটিতে প্রায় সব মন্দিরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ স্থগিত রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বদ্রীনাথ চার ধাম যাত্রা। পথে থাকা বদ্রীনাথ মন্দিরগামী তীর্থযাত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং স্থানীয় পুলিশের সমন্বেয়ে পরিচালিত এলাকা ভিত্তিক জরিপ থেকে জানা যায়, কৃষিজমি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রীকে বন্যার সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করতে বলেছেন।
নৈনিতালমুখী তিনটি সড়ক ভূমিধসে বন্ধ হওয়ার পর থেকে পর্যটন জেলাটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে আছে।
যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে নেপাল থেকে আসা তিন শ্রমিক রয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। বন্যায় বাড়িঘর ও সেতুসহ বিপুলসংখ্যক স্থাপনা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।