মুখ ধোয়ার সময় আমরা হয়তো ঘাড়ের অংশটুকুও ধুয়ে নিচ্ছি কিন্তু ময়েশ্চারাইজিং এর ক্ষেত্রে ঘাড় একেবারেই বাদ পরে যায়। আমরা প্রতিনিয়ত যেভাবে আমাদের মুখের যত্ন নেই সেভাবে কিন্তু ঘাড়ের অংশটির যত্ন নেওয়া হয় না। নানা ফেসপ্যাকের ক্ষেত্রেও আমরা গলাকে প্রাধান্য দিলেও ঘাড়কে মোটেই পাত্তা না দেওয়ায় ধীরে ধীরে ঘাড়ে কালো দাগ, বলিরেখা ও নানা সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সুন্দর মুখের সাথে বেমানান কালো দাগ যুক্ত ঘাড় আপনার ইম্প্রেশনটাকেই নষ্ট করে দেয়। তাই আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার ঘাড়ের এই কালো দাগ দূর করতে পারেন। রুপচর্চার কথা বললে অনেকেই শুধু মেয়েদের কথা বোঝেন। আর ছেলেদের রুপচর্চার কথা বললে অনেকেই নাক সিঁটকান। কিন্তু স্কিনের যত্ন নেওয়া ছেলে, মেয়ে দুইয়ের জন্য অনেক জরুরি। জরুরি। অনেক সময় মেয়েদের মত ছেলেদের ঘাড়ে কালো দাগ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে অবহেলা না করলে অবশ্যই সমাধান খুঁজতে হবে। কারণ ঘাড়ে কালো দাগ দেখতে যেমন খারাপ লাগে তেমনি এ থেকে সমস্যা পরে আরো বাড়তে পারে।
তাহলে জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই দূর করবেন আপনার ঘাড়ের কালো দাগ-
এক্সফলিয়েশন:
আলফা হাইড্রক্সি এসিড এবং বেটা হাইড্রক্সি এসিড স্কিনকে পরিষ্কার ও হালকা করে। এসব উপাদান আছে এমন সাবান বা শাওয়ার জেল দিয়ে সপ্তাহে দুদিন ঘাড় পরিষ্কার করে ফেলুন।
রেটিনয়েডস:
ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে রেটিনয়েড অনেক উপকারী। তবে এই ট্রিটমেন্টের আগে আপনাকে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
মাস্ক:
ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে কালো দাগ অনেকটা হালকা হয়ে আসবে।
অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরায় অ্যালোইন নামে প্রোটিন রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে দাগ দূর করতে পারে। রাতে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার:
সূর্যের ক্ষতিকর বেগুণী রশ্মি স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি করে। শরীরের যেসব অংশ খোলা থাকে তাতে কালচে দাগ পড়ে যায়। এজন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
দুধ:
দুধে যে ল্যাকটিক এসিড থাকে তা স্কিনকে লাবণ্যময়ী করতে সাহায্য করে। যেখানে কালো হয়েছে সেখানে দুধ দিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার:
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে অ্যাসেটিক এসিড রয়েছে। আর অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। যে জায়গায় সমস্যা সেখানে ২ থেকে ৩ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
হাইড্রেশন:
প্রতিদিন ফল ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে শরীর হাইড্রেট থাকবে। স্কিনের কালো দাগও দূর হবে।
চিকিৎসা:
প্রাকৃতিক কোন উপায়ে কাজ না হলে একজন ভালো ডার্মাটোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করে লেজার ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। তবে ঘাড় কালো হওয়ার কারণটি আগে খুঁজে বের করুন।
সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া