পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেছেন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা করে হাওরে সেতু নির্মাণ করা কঠিন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই কঠিন কাজটাকেই বাস্তবায়ন করছেন। তিনি হাওরে উড়াল সেতু নির্মাণের ধারণা দিয়েছিলেন। তাই এই সেতুর নাম শেখ হাসিনা উড়াল সেতু হবে। একনেকে উড়াল সেতু অনুমোদনের সময় তিনি বলেছেন, সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে হাওরের একটি হিজল-করচ গাছও যেন নষ্ট না হয়। গাছের উৎপাদন যেন ব্যহত না হয়। পানি প্রবাহ ঠিক রেখে এই সেতু নির্মাণ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সেতুটির পাশে জাতির পিতার দৃষ্টিনন্দন মুর্যাল হবে। পর্যটকদের জন্য সুব্যবস্থা থাকবে। পার্কিং ও নিরাপত্তা জোরদার থাকবে। হাওরের রূপ দেখে মুগ্ধ হবে মানুষ। এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
তিনি বলেন, জলাভূমি এলাকায় টেকসই সড়ক নির্মাণে শেখ হাসিনাই মডেল। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, দেশের দুইটি জেলা আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। তিনি তখন জেলা দুইটির নাম জানতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম সেই দুই জেলা হলো সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা। এই দুটি জেলাকেই সংযোগ করতে হাওরে উড়াল সেতু নির্মাণ হবে। আমরা শিগগিরই এই সেতুটি প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করবো।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ও গৃহীত স্কীম সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ ৫ আসনের এমপি মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ ১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক এমরান হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পৌর মেয়র নাদের বখত, তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু বাবুল, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন, জামালগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রুকেশ লেইস, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস। সভায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, ইউএনও, গণমাধ্যমকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।