জয়ের জন্য খুলনা টাইগার্সের দরকার ছিল ১৪২ রান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই রান তাড়া করা তেমন কঠিন ছিল না। কিন্তু বরিশালের বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ব্যর্থ খুলনার ব্যাটাররা। রূপসা নদীর পাড়ের দলটিকে ১২৪ রানে অলআউট করে দিয়ে ১৭ রানের জয় তুলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের মোটামুটি স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ফরচুন বরিশাল। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন ওপেনিংয়ে নামা ক্রিস গেইল। এছাড়া তৌহিদ হৃদয় ২৩ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯ রান করেন।
এদিন, সাত নম্বরে নেমেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মাত্র ৯ রান করে ক্যাচ তুলে দেন। দীর্ঘদিন পর তিনি এই পজিশনে খেলেছেন। হয়তো ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতেই তার এ সিদ্ধান্ত। কিন্তু সফল হতে পারেননি। অবশ্য পরে বল হাতে এক উইকেট শিকারের পাশাপাশি দারুণ নেতৃত্বে বরিশালকে জয় এনে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
খুলনার বোলারদের মধ্যে কামরুল ইসলাম রাব্বি, থিসারা পেরেরা ও ফরহাদ রেজা ২টি করে এবং শেখ মেহেদী হাসান, শরিফউল্লাহ ও প্রসান্না নেন একটি করে উইকেট। পরে ব্যাট করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতে ১২৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় খুলনা টাইগার্স। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন অধিনায়ক মুশফিক। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনিই আউট হয়েছেন। এছাড়া ইয়াসির আলি ২৩, থিসারা পেরেরা ১৯ ও শেখ মেহেদী ১৭ রান করেন।
বরিশালকে ম্যাচ জিতিয়েছেন ১৭ রানে ৪ উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান রানা। ম্যাচসেরাও হয়েছেন এই পেসার। এছাড়া মুজির উর রহমান ও লিনটট ২টি করে এবং শফিকুল ইসলাম ও সাকিব নেন একটি উইকেট।