বান্দরবানের রুমায় সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে লামা ও আলীকদমে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা। এ সময় জেএসএস মূল দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সন্তু লারমাকে বান্দরবানে আজীবনের জন্য প্রবেশ ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করে। এরপর তার কুশপুত্তলিকা পোড়ান বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি ) সকালে লামা ও আলীকদমে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সন্তু লারমার গাড়ি থেকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে তাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা পার্বত্য এলাকায় কখনও শান্তি ফিরে আসবে না।’ এ সময় তিনি, আজীবন সন্তু লারমাকে বান্দরবান জেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলেও ‘ঘোষণা’ দেন। পার্বত্য এলাকায় সেনা ও পুলিশ ক্যাম্প পুনঃস্থাপনসহ পার্বত্য এলাকায় চিরদিনের জন্য শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান।
পরে সন্তু লারমার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা। এ সময় সংগঠনের জেলা সভাপতি সামছুল ইসলাম সামু, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, সহ সভাপতি রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জালাল, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক কাজী ইকবাল মাহমুদসহ নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বান্দরবান রুমা উপজেলার বথি ত্রিপুরা পাড়ায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের ওপর জেএসএস (মূল দল) সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান নিহত ও একজন আহত হন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালালে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। সেনাবাহিনীর দাবি, নিহত সন্ত্রাসীরা জেএসএস মূল দলের সদস্য।