রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও চার জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান। এ নিয়ে রামেক হাসপাতালে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা ইউনিটে ২৫ জন মারা গেলেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে দুই জন মারা গেছেন। এই দুইজনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। এছাড়া করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় আরও দুইজন মারা গেছেন। এদের একজন রাজশাহীর এবং একজন পাবনা জেলার বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুই জন, আইসিইউ এবং ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে রোগী মারা গেছেন। মারা যাওয়া চার জনই পুরুষ। এদের মধ্যে দুইজন ষাটোর্ধ্ব। অন্য দুইজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এর আগে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি চার জন, ২ ফেব্রুয়ারি তিন জন, ৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচ জন, ৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুহীন, ৫ ফেব্রুয়ারি দুই জন, ৬ ফেব্রুয়ারি দুই জন, ৭ ফেব্রুয়ারি তিন জন ও ৮ ফেব্রুয়ারি দুই জন মারা গেছেন।
এদিকে ১৪৬ শয্যার রামেক করোনা ইউনিটে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ৬০ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ৬৩ জন। করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন চার জন। একই দিনে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১১ জন।
বর্তমানে রাজশাহীর ৩৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার জন, নওগাঁর ৯ জন, নাটোরের সাত জন, পাবনা ও কুষ্টিয়ার দুই জন করে, চুয়াডাঙ্গা-সিরাজগঞ্জ ও ঝিনাইদহের একজন করে রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তাতে করোনা ধরা পড়েছে ৩৫টিতে। একই দিনে রামেক ল্যাবে ৩৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে। রাজশাহীর ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৪ জনের, জেলায় করোনা শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নাটোরে ২৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং নাটোরে ৪৪ শতাংশ।