মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার সামনে সমীকরণ ছিল এমন যে, টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে। প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প নেই। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। গতকাল সিলেটে খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে পরাজিত করেছে ঢাকা।
এই জয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে রইল ঢাকা। ৯ ম্যাচে তাদের জয় ৪টি এবং ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে দলটি। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মিরপুর স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিরুদ্ধে খেলবে ঢাকা। প্লে-অফে খেলতে ঐ ম্যাচও জিততে হবে মাহমুদউল্লাহ-তামিমদের। যদিও ইনফর্ম বরিশালের সামনে বড় পরীক্ষা দিতে হবে ঢাকাকে। অবশ্য দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে গত ২৪ জানুয়ারি জিতেছিল ঢাকা।
গতকাল হেরে যাওয়া খুলনার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। আট ম্যাচে খুলনার এটি চতুর্থ হার। ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করা মুশফিকুর রহিমের দলকে বাকি দুই ম্যাচে জিততে হবে। সবমিলিয়ে মিরপুরেই চূড়ান্ত হবে প্লে-অফের শেষ তিন দল। ইতোমধ্যে ৬টি জয় নিয়ে প্লে-অফে নাম লিখিয়েছে বরিশাল।
গতকাল একাদশে চার পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছিল ঢাকা। মাশরাফি, শাহজাদ, নাঈম শেখ, এবাদতকে বসিয়ে একাদশ গড়ে দলটি। একাদশে সুযোগ পান রুবেল হোসেন, শামসুর রহমান, জহুরুল ইসলাম অমি এবং অভিষেক হয় আফগান আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের।
বোলাররাই মূলত ঢাকার জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন। টস জিতে ব্যাট করা খুলনা শুরুতে ১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় ৩২ রানে অধিনায়ক মুশফিকও বিদায় নেন। তারপরও দলটির স্কোর ১০০ ছাড়িয়েছে সিকান্দার রাজার হাফ সেঞ্চুরিতে। সাত নম্বরে নেমে ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। খুলনা ৮ উইকেটে ১২৯ রানের পুঁজি গড়ে। মুশফিক ১২, মেহেদী হাসান ১৭, থিসেরা পেরেরা ১২ রান করেন। ঢাকার পক্ষে আরাফাত সানি, ওমরজাই ২টি করে, রুবেল, ফজল ফারুকি, কায়েস আহমেদ ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। দলীয় ১২ রানে দুই ওপেনার তামিম, ইমরানুজ্জামান বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-জহুরুল ৫৭ রানের জুটি গড়েন। তারা ফিরলেও শুভাগত, শামসুর জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দলকে। জহুরুল ৩০, মাহমুদউল্লাহ ৩৪, শামসুর ১৪ বলে ২৫, শুভাগত হোম অপরাজিত ১৮, ওমরজাই অপরাজিত ১০ রান করেন। খুলনার থিসেরা পেরেরা ২টি, নাবিল সামাদ, রুয়েল মিয়া ও খালেদ আহমেদ ১টি করে উইকেট পান। ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে ঢাকার বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি ম্যাচ সেরা হন।