সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ২০১৮ সালের জুনে নুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মতামত দিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। বেলকুচি থানা-পুলিশও তদন্তে বলেছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা।
অবশ্য তিন বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে বের করেছে আত্মহত্যা নয়, নুর ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যার গল্প সাজাতে তাঁর লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
হত্যা, না আত্মহত্যা—তা জানতে সঠিক ময়নাতদন্ত কতটা জরুরি, তার প্রমাণ এ ঘটনা। অপরাধীকে শনাক্ত করা, অপরাধ প্রমাণ করা, মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় জানা—সব মিলিয়ে বিচার কার্যক্রমের জন্যই সঠিকভাবে ময়নাতদন্ত জরুরি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া যায় না। কিন্তু সঠিকভাবে ময়নাতদন্ত যিনি করবেন, সেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের ঘাটতি আছে দেশে। এ কারণে জেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে মেডিকেল অফিসার দিয়ে ময়নাতদন্ত করানো হয়। এ ছাড়া দেশে মর্গগুলোর আরও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে ময়নাতদন্তের ভুল প্রতিবেদন আসে। এতে ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘাটতি ও মর্গের অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে পিবিআই। ভুল ময়নাতদন্তের নানা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে তৈরি করা এ প্রতিবেদন শিগগির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের ভুলে হত্যার ঘটনা আত্মহত্যা বলে গণ্য হয়েছে, এমন ২৪টি ঘটনার বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এসব মামলায় আগেই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
পিবিআইয়ের প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, হত্যার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত থেকে বিচার কার্যক্রম পর্যন্ত ময়নাতদন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ নেই। তাঁরা ডোমের ওপর নির্ভর করেন। মর্গে অবকাঠামোগত ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি নেই। এতে ময়নাতদন্ত ভুল হচ্ছে। তিনি বলেন, পুলিশও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের মতামতের বাইরে গিয়ে তদন্ত করতে আগ্রহী নয়। এসব কারণে অনেক ক্ষেত্রেই হত্যার ঘটনা আত্মহত্যা হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
নুর ইসলামের মৃত্যু ও তদন্ত
নুর ইসলামের লাশের ময়নাতদন্ত করেছিলেন সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ফয়সাল আহম্মেদ। ফরেনসিক মেডিসিনে তাঁর কোনো ডিগ্রি নেই। এ বিষয়ে তিনি কেবল প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জানতে চাইলে এই চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, নুর ইসলামের ময়নাতদন্তের বিষয়টি তাঁর এখন মনে নেই।
নুর ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন, শুরুতে এমনটাই মনে করেছিল তাঁর পরিবারও। নুর ইসলামের মেয়ে মর্জিনা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুরুতে আমরা ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মেনে নিয়েছিলাম। তবে আসামিপক্ষ বারবার সমঝোতার চেষ্টা করছিল। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে পিবিআইয়ের তদন্তে জানা যায়, আব্বাকে হত্যা করা হয়েছে।’
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে কোনো আধুনিক অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও স্থায়ী ডোম নেই। এই হাসপাতালে ২০১৯ ও ২০২০ সালে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তিনটি লাশকে শুরুতে পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করা হয়। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, লাশ তিনটি ছিল নারীর।
ময়নাতদন্তে দুর্বলতার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পিবিআইয়ের তদন্ত যে সব সময় সঠিক হয়, তা নয়। দেখা যায় কোনো মামলায় নিম্ন আদালতে আসামির ফাঁসির রায় হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতে সব আসামি খালাস পায়। তাই এগুলো বলে লাভ নেই।
ময়নাতদন্ত–সংক্রান্ত ব্যবস্থায় ঘাটতির ক্ষেত্রে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালটি একটি উদাহরণ মাত্র। পিবিআই বলছে, দেশের প্রায় সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তে ঘাটতি, অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। জেলা হাসপাতালসহ অনেক মেডিকেল কলেজেও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ নেই। মরদেহের ভিসেরাসহ বিভিন্ন নমুনা সংরক্ষণে মর্গে আলাদা জায়গা নেই। অনেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা নেই। নমুনা রাখার জন্য কনটেইনার, প্রিজারভেটিভ ও কেমিক্যাল সরবরাহের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে অনেক আলামত নষ্ট হয়ে যায়। প্রিজারভেটিভ না থাকলে লবণ–পানির মাধ্যমে লাশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল ল্যাবে পাঠানো নমুনাগুলো নিম্নমানের ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। পরে এসব নমুনা একাধিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। ল্যাবরেটরি থেকে প্রতিবেদন আসতে দেরি হয়।
ঢাকায় তিনটি মেডিকেল কলেজে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো মর্গ হচ্ছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, টিনের ছাউনির এ মর্গে লাশ সংরক্ষণের রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) নষ্ট দেড় বছরের বেশি সময় ধরে। তাই লাশ সংরক্ষণ করাও সম্ভব হয় না। বিশেষ করে বেওয়ারিশ লাশ পাশের একটি কক্ষে ফেলে রাখা হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার অন্তত ২০টি থানার লাশ আসে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ১২ জন থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৩ জন।
দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৩। এসব কলেজে কমপক্ষে ১৭০ জন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। অথচ সারা দেশে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আছেন মাত্র ৪০ জন। আর জেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় মেডিকেল অফিসাররা ময়নাতদন্ত করেন।
লাশের ময়নাতদন্তের পাশাপাশি রাসায়নিক পরীক্ষা ও ডিএনএ নমুনার পরীক্ষা করেও হত্যার ধরন বের করা হয়। কিন্তু পিবিআই বলছে, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক সময় সেটি করাও সম্ভব হয় না। ময়নাতদন্তের পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে নিলুফা আখতার নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে তাঁর দেবর হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ময়নাতদন্ত, ভিসেরা ও হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসক মতামত দেন, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ও সিআইডিও তদন্তে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করে। কিন্তু পিবিআইয়ের তদন্তে দেখা গেছে, ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে নিলুফারের দেবর তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
একই বছরের এপ্রিলে একটি আবাসিক হোটেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিজানুর রহমানকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ও তাঁর বান্ধবী সুমাইয়া নাসরিনকে ধর্ষণের পর বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। অথচ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মিজান আত্মহত্যা করেছেন। আর সুমাইয়াকে ধর্ষণের বিষয়টি ডিএনএ টেস্টে উঠে আসেনি। পরে পিবিআই তদন্ত করে পায় যে তাদের দুজনকেই হত্যা করা হয়েছে।
রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসায় চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমানকে সাত মাস আগে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। খুনের ধরন স্পষ্ট হলেও খুনের ‘সম্ভাব্য সময়’ জানা সম্ভব হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে যোগাযোগ করেও ‘সম্ভাব্য সময়’ জানতে পারেনি মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই। এমনকি ময়নাতদন্ত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
চিকিৎসক সাবিরার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নেওয়া হয় বিকেলে। মর্গের ফ্রিজে সংরক্ষণের পরদিন ময়নাতদন্ত হয়। মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ জানতে লাশের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সাবিরার লাশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করায় তা সম্ভব হয়নি। মর্গে আসা এমন অধিকাংশ লাশের তাৎক্ষণিক ময়নাতদন্ত করা হয় না বলে জানিয়েছে পিবিআই। সংস্থাটির ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাবিরা হত্যা মামলার তদন্তে মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় জানা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জানা গেলে একটি দিকনির্দেশনা পাওয়া যেত। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি।
অনেক ক্ষেত্রে এ সময় হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে অনেক বড় সূত্র বা মুখ্য বিষয় হতে পারে। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, অনভিজ্ঞতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে বিকেল পাঁচটার পর আসা লাশের ওই দিন ময়নাতদন্ত করা হয় না। লাশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে পরদিন ময়নাতদন্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন এই মর্গের ডোম রামু। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডোম শ্যামলও একই তথ্য দিয়েছেন।
‘সুবিধা’ নেন আসামিরা
ময়নাতদন্তের ভুলে প্রতিবেদন আত্মহত্যা এলে এর সুবিধা নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন আসামিরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুলিশের তদন্তে হত্যার কথা বলা হলেও আদালতে আসামিরা তদন্ত প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেন। তখন আদালত নতুন করে ময়নাতদন্ত ও তদন্তের আদেশ দিতে পারেন। এতে বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় বলে ফৌজদারি অপরাধ নিয়ে কাজ করা পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আর নতুন করে ময়নাতদন্তে পচা ও গলা লাশে হত্যার আলামত না পাওয়ার আশঙ্কা বেশি।
রাজারবাগে ঢাকা মহানগর পুলিশ একাডেমিতে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল, ময়নাতদন্ত এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা তিন ক্ষেত্রেই দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি। না হলে ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। আর ময়নাতদন্ত ও অভিযোগপত্রে সামঞ্জস্য না থাকলে আসামিরা এর সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেন, একটি হত্যা মামলার ক্ষেত্রে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে সুরতহাল প্রতিবেদন সঠিকভাবে করতে হয়। আর যিনি ময়নাতদন্ত করবেন, তাঁকে আরও বেশি সতর্কভাবে তদন্ত করতে হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সুযোগ দিতে হবে
উন্নত বিশ্বে যাঁরা ময়নাতদন্ত করেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হত্যার ঘটনা ঘটলেই ওই স্থান সুরক্ষিত করা হয়। সেখানে প্রথমেই পরিদর্শন করেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। তিনি ঘটনাস্থলের ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরে ময়নাতদন্তের সঙ্গে এসব তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এভাবে ময়নাতদন্ত করলে প্রতিবেদন ভুল হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ও দ্য মেডিকোলিগ্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ মনে করেন, ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা ময়নাতদন্তের পদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সুযোগ দিলে প্রতিবেদন নির্ভুল হবে। আধুনিক মর্গ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হলে ময়নাতদন্তের দুর্বলতাও কমবে।
গোড়ার গলদ দূর করতে হবে
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপরাধী শনাক্ত ও অপরাধ প্রমাণ করতে সবচেয়ে জরুরি সঠিক ময়নাতদন্ত। সেখানে যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করা কঠিন।
ফৌজদারি আইনজীবী আমিনুল গনি প্রথম আলোকে বলেন, হত্যা মামলা প্রমাণ করার ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মৃত্যু কীভাবে ঘটেছে, সেটি ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। পিবিআইয়ের তদন্তে ২৪ আত্মহত্যার ঘটনা হত্যা বলে বেরিয়ে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, দেখতে হবে কিসের ভিত্তিতে এটা বলা হচ্ছে। যদি ১৬৪ ধারার জবানবন্দির ভিত্তিতে বলা হয়, তাহলে সেটা হবে তদন্তের সবচেয়ে দুর্বল দিক।