দিনাজপুরের হিলিতে শনিবারের (১২ ফেব্রুয়ারি) চেয়েও রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমেছে। এছাড়া হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় বাড়তি শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে সকালে রোদের দেখা মিলেছে। শীতের কারণে কাজ করতে কষ্ট হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষেরা।
শ্রমজীবী নুরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মাঝে শীতের মাত্রা কমে গেলেও গত দু’দিন থেকে আবারও হিলিতে শীতের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের কারণে ঘর থেকে কাজের সন্ধানে বাইরে বের হওয়া হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। তবু পেটের দায়ে বাইরে বের হতে হচ্ছে তাদের। শীতে সাধারণ মানুষ কাজ করতে গিয়ে অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
ভ্যানচালক সবুজ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শীত কিছুটা কমলেও গত দু’দিন থেকে আবারও শীতের মাত্রা বেড়েছে। দিনের বেলা ভ্যান চালানো গেলেও বিকালের পর থেকে অতিরিক্ত শীত অনুভূত হওয়ায় কাজ করা যায় না। এতে করে আয় রোজগার আমাদের কমে গেছে, বেড়েছে দুর্ভোগ।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল যেখানে তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।বাতাসের আদ্রতা রয়েছে ৮৬ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৩-৪ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে বাতাস বেইতে পারে বলে জানান তিনি।
/