কানাডা, নিউজিল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের পর এবার ফ্রান্সেও করোনা বিধির বিরোধিতা করে ‘ফ্রিডম কনভয়’ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার শত শত গাড়িবহর নিয়ে বিক্ষোভকারীরা প্যারিসে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাঁদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটক ও জরিমানা করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
সম্প্রতি করোনা বিধির বিরোধিতা করে বিক্ষোভ শুরু করেন কানাডার ট্রাকচালকেরা। অটোয়ায় গাড়িবহর দিয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ব্যস্ততম সীমান্ত ক্রসিংও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কানাডায় ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে শুরু হওয়া সে বিক্ষোভ ইতিমধ্যে বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে একই রকমের বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে। রাজধানীতে এ ধরনের গাড়িবহরের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া ও বেলজিয়াম। আর এবার ফ্রান্সে শুরু হয়েছে সে বিক্ষোভ।
আগে থেকেই ‘ফ্রিডম কনভয়’ বিক্ষোভের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ। তবে সে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গতকাল গাড়িবহর নিয়ে প্যারিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তাঁদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি রাল্ড ডারমানিন বলেন, তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে জরিমানা করা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৪ জন।
বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে তিন দিনের জন্য সাত হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে নিয়োজিত রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এত সব বাধার পরও গতকাল কিছু গাড়ি আর্ক দ্য ত্রিয়োমফ শহরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। পার্শ্ববর্তী চ্যাম্পস এলিসি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।
প্যারিস পুলিশ বলছে, গতকাল শহরমুখী শত শত গাড়ি আটকে দিয়েছে তারা। এর মধ্যে দুটি গাড়িতে ছুরি, হাতুড়ি, পেট্রল কনটেইনার ছিল আর পাঁচটিতে ছিল গুলতি।
ফ্রান্সে কোভিড পাসের বিরোধিতা করে এ বিক্ষোভ চলছে। দেশটিতে জনসমাগম স্থান ও অনুষ্ঠানে প্রবেশের জন্য করোনার টিকা গ্রহণের প্রমাণ দেখানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমন করোনা বিধির বিরোধিতা করে আজ রোববারও বিক্ষোভ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইনে যোগাযোগের মধ্য দিয়ে ফ্রিডম কনভয় বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ এ বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। ফ্রান্সে দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ মানুষেরাও এ বিক্ষোভে যুক্ত হচ্ছেন।