Image default
বাংলাদেশ

পাসে রাজশাহী বোর্ডের রেকর্ড, এবারও এগিয়ে মেয়েরা

অটো পাসের হিসাব বাদ দিলে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড রেকর্ড গড়েছে। ২০২১ সালের অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডের ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থীই পাস করেছেন। অতীতে বোর্ডে কখনো এত বেশি শিক্ষার্থী পাস করেননি। গতবারের মতো এবারও ছেলেদের চেয়ে জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা।

আজ রোববার দুপুরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে দেখা যায়, বিভাগের ৮ জেলা থেকে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৮ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। পাস করেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৯ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯।

রাজশাহী বোর্ডে এবারও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা। এবার ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ মেয়ে ও ৯৬ দশমিক ৫১ শতাংশ ছেলে পাস করেছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পাসের হারে এগিয়ে ছিলেন মেয়েরা। করোনাকালে পরীক্ষা না হওয়ায় ২০২০ সালে ছেলে ও মেয়ে সবার পাসের হার ছিল শতভাগ। অটো পাস বাদ দিলে এবারের ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ পাসের হার অতীতে কখনো হয়নি। ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৬৪।

এবার রাজশাহী বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৪০০ জন ছেলে ও ১৮ হাজার ৪০০ জন মেয়ে। গত বছর অটো পাসে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২৬ হাজার ৫৬৮ জন। তার আগে ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এবার সেটা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার বিভাগের ৮ জেলার ৭৫৯টি কলেজের শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। মোট ২০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার বিভাগের ১৬২টি কলেজের সব শিক্ষার্থী পাস করেছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত শতভাগ পাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৩৪। পরীক্ষা চলাকালে এবার বোর্ডের কোনো শিক্ষার্থীই বহিষ্কৃত হননি।

এত বেশি পাসের হার আগে কখনো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেখেছেন, এত বেশি পাসের হার ছিল না। তার আগে এ রকম হয়েছে কি না, তাঁর জানা নেই। সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি। এ পর্যায়ে এই ফলকে সন্তোষজনক বলা যায় কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষা যেহেতু হয়েছে। ফলকে সন্তোষজনক বলতেই হবে। বরাবরের মতো এবারও মেয়েদের ভালো ফলের ব্যাপারে তিনি বলেন, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বাইরে বের হওয়ার কম সুযোগ পান। তাঁরা ছেলেদের চেয়ে আড্ডায় কম সময় দেন। সময়টা পড়াশোনায় বেশি ব্যয় করেন, এ জন্য তাঁরা পরীক্ষায় ছেলেদের তুলনায় ভালো করেছেন।

Related posts

২৮ এপ্রিল থেকে ‍‍`নো মাস্ক নো সার্ভিস‍`

News Desk

কামারপাড়ায় বেড়েছে উত্তাপ

News Desk

স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভেনামি চিংড়ি

News Desk

Leave a Comment