দামটা যে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে গিয়ে ঠেকবে, তা নিকোলাস পুরানের কল্পনায়ও ছিল না।
পাঞ্জাব কিংসের হয়ে আইপিএলের গত মৌসুমে মোটেও ভালো করতে পারেননি পুরান। ১২ ম্যাচে ৭.৭২ গড়ে করেন ৮৫ রান। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি। এমন পারফর্ম করার পর এবার নিলামে নিজের দামটা কতটুকুই–বা আশা করা যায়? এ কারণে টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানদের একজন হলেও তাঁর ভিত্তিমূল্য ছিল দেড় কোটি রুপি।
নিলামের আগে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও রান পাননি এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। তিন ম্যাচে মোট সংগ্রহ ৬১, সর্বোচ্চ ৩৪। আরেকটু পিছিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজেও তাকানো যায়, পারফরম্যান্স তেমন আহামরি ছিল না। ৭০ রানের একটি ইনিংস ছাড়া বলার মতো আর তেমন কোনো ইনিংস নেই।
এ অবস্থায় পুরান ধারণা করেছিলেন, নিলামে তাঁর দাম আর কতই–বা উঠবে! বড় জোর ৫ কোটি?
কিন্তু নিলামে দেখা গেল উল্টো। পুরানকে নিয়ে কাড়াকাড়ি চলেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে তাঁকে কিনে নেয় সানরাইজার্স।
এরপর পুরানের আনন্দ দেখে কে! ওয়েস্ট ইন্ডিজ সতীর্থদের পিৎজা কিনে খাইয়েছেন পুরান। তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ কলকাতায় ভারতের মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১৫ হাজার রুপিতে ১৫টি পিৎজা অর্ডার করেন পুরান। তবে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় জৈব সুরক্ষাবলয়। গোটা দলই তো এই বলয়ের মধ্যে। বাইরে থেকে কিছু আনতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনতে হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের স্থানীয় ম্যানেজার ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘বাইরে থেকে খাবার আনার যেহেতু অনুমোদন নেই, তাই সে (পুরান) ১৫টি পিৎজা হোটেলের শেফের কাছে অর্ডার করে।’
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল হোটেলে ‘গ্রেড ওয়ান’ জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে আছে। বাইরে থেকে আনা সবকিছু স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক এবং তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
একজন যোগ্যতাসম্পন্ন শেফ তা (খাবার) পরীক্ষা করেন। গ্রেড ওয়ান জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে থাকায় বাইরে থেকে আনা সব খাবারই স্যানিটাইজ করে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে কামরায় সরবরাহ করা হয়। ১৫টি পিৎজার বক্স খেলোয়াড়দের কামরায় পাঠানোর আগে এভাবেই পরীক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। দাম খেলোয়াড়ই (পুরান) দিয়েছেন’—সংবাদমাধ্যমকে জানান স্থানীয় ম্যানেজার।
সতীর্থদের পিৎজা খাওয়ানোর পরদিন একটি দুর্ঘটনার শিকারও হন পুরান। মুঠোফোনের চার্জার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাইরে থেকে ফোনের চার্জার আনিয়েছিলেন তিনি। তা স্যানিটাইজ করে ব্যবহারের সময় তড়িতাহত হন।