দীর্ঘ আট বছর পর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
সাকিবুল ইসলাম রানাকে সভাপতি ও জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছরের জন্য ৩০ সদস্যের এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘোষণার পর পরই এই কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান একাধিক নেতা।
তারা বলছেন, কমিটিতে এমন অনেকের নাম আছে যাদেরকে কখনও ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। বিবাহিত, মাদক মামলার আসামি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিকবার বহিষ্কৃত, বিএনপি পরিবারের সন্তানসহ শিবির কর্মীও কমিটিতে পদ পেয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
কমিটিতে ১৮ জনকে সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন—রাসেল আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, আবু তালেব, মো. মুক্তার শেখ, খাইরুল আলম, শাওন সরকার, মেহেদী হাসান, মো. মিনজারুল ইসলাম, ওবায়দুল্লাহ আল মাহামুদ, মো. হাসান, শাহরিয়ার শিমুল, মো. আকিল আমিন, রবিউল ইসলাম, আল আমিন, মো. নাঈম ইসলাম, জয় সরকার ও মো. পলাশ হাসেন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা হলেন—হাসিবুল হাসান শান্ত, মমিনুল ইসলাম মোহন, সামিউল ইসলাম, মাশরুর হাসান, এসএম আল মুকিত। সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন—সোহাগ আলী, আফজালুর রহমান রাজিব, মুহাইমিনুল ইসলাম হিমেল, ফারজানা মুস্তারী ও আশিক জাভেদ।
প্রসঙ্গত, হাবিবুর রহমানকে সভাপতি ও মেরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৩১ সদস্যের ওই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত বছরের ১৬ জুলাই বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়। জীবনবৃত্তান্ত নেওয়ার ছয় মাস পর সম্মেলন ছাড়াই আংশিক জেলা কমিটি করা হয়েছে।