টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কুক ও জানেমান মালান। মোস্তাফিজ ও শরিফুলকে বেশ শাসন করে খেলেন তারা। মাত্র ৬.৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪৬ রান উঠে যায় তাদের। এরপরই প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাতটি হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগের বলেই বাউন্ডারি মারেন ডি কুক। পরের বলটিও মারতে যান। কিন্তু এবার আর পারলেন না। মিরাজের স্ট্যাম্প বরাবর বলটি লং অনে খেলতে যান ডি কুক। সেখানে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কোনো ভুল না করে বলটি সরাসরি তালুবন্দি করেন। তখন কিছুটা চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। মিরাজের সঙ্গে তাসকিন আহমেদও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে শুরু করেন।
শেষ পর্যন্ত পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারে প্রোটিয়াদের রান দাঁড়ায় এক উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান। এরপরই আক্রমণে আসেন সাকিব আল হাসান। তিনি বেশ কিপ্টে বোলিং করছেন। অপরপ্রান্তে তাসকিন এরই মধ্যে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দিয়েছেন। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়ানডাউনে নামা কাইল ভেরেইনেকে বোল্ড করেছেন তিনি। ভেরেইনে ৯ এবং ডি কুক ১২ রান করেন।
নিজের পরের ওভার করতে এসে আবারও আঘাত হেনেছেন তাসকিন। তার একটি বাউন্সি বল খেলতে গিয়ে কটবিহাইন্ডের শিকার হয়েছেন ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া জানেমান মালান। ১৪.৫ ওভারের সময় তিনি ৩৯ রান করে ফিরে গেছেন।
এবার উইকেট শিকারের মিছিলে যোগ দিয়েছেন সাকিব। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। বাভুমা মাত্র ২ রান করেছেন। অন্যদিকে, শরিফুল হয়তো ভাবছেন তিনি বাদ যাবেন কোনো। তাইতো দলীয় ১৯তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেল করতে এসে প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দিলেন রাসি ভ্যান ডের ডুসেনকে। শরিফুলের ডেলিভারি করা বলটি হঠাৎ উঁচুতে উঠে যায়। রাসি সেটি ডিফেন্স করতে গেলে পয়েন্টে দাঁড়ানো মিরাজের হাতে চলে যায়। তখন স্বাগতিকদের স্কোর ৮৩ রান।
এই রিপোর্ট লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২২.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান।