ডারবান টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ। গতকাল (৩১ মার্চ) প্রথম দিন শেষে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান। দুই দলই প্রায় সমান অবস্থানে আছেন। তবে প্রথম সেশনে কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। বোলিংয়ে কোনো বৈচিত্র ছিল না, সুযোগও সৃষ্টি করতে পারেনি তারা। ফলে টস জিতেও ফিল্ডিং নেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।
অবশ্য দিনের খেলা শেষে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন কেন এমন সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, এমন উইকেটে তরুণ ব্যাটাররা যেন ভয় না পায় সে জন্যই আগে ব্যাটিং করেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে পেটের পীড়ার কারণে খেলছেন না অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল। চোটের কারণে নেই শরিফুল ইসলামও। পারিবারিক কারণে সাকিব আল হাসান দেশে ফিরে এসেছেন।
এমন অবস্থায় টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটারই (সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত) তরুণ। যাদের কারোরই খুব বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এমনকি এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের প্রথম টেস্ট। তাছাড়া ডারবানের এই মাঠে এখন পর্যন্ত টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে টেস্ট জেতার ঘটনা ১০টি, সর্বশেষটা ২০১৯ সালে এবং এর আগেরটা ২০০৮ সালে। আর আগে ব্যাটিং করে জেতার ঘটনা ১৮টি।
সংবাদ সম্মেলনে রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘ওদের (তরুণ ব্যাটার) অনভিজ্ঞতার কথা ভেবেই আগে ব্যাটিংয়ের ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। দিনশেষে বাংলাদেশ টেস্টে উন্নতি করতে চায়। যে উইকেটে পেস ও বাউন্স আছে একটু, সেখানে ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা কাজ করে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোচিং স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও সিনিয়র ক্রিকেটার সবার সঙ্গেই আলোচনা করা হয়। তবে এটা সহজ না, কঠিন।’
এক্ষেত্রে ব্যাটারদের আরও সাহসী হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাইয়ের কন্ডিশনে ব্যাটিংয়ে কিছুটা ভয় কাজ করে। অনেক তরুণ ক্রিকেটার আমাদের; জয়, সাদমান, শান্ত, যারা এখানে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলছে। কঠিন উইকেটে খেলার জন্য আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে।’
ডমিঙ্গো অবশ্য উইকেটশূন্য সেশনে অনভিজ্ঞ পেস আক্রমণের গড়পড়তা বোলিংয়েরও দায় দেখছেন। প্রোটিয়া এই কোচ বলেন, ‘আমাদের বোলিং আক্রমণ অনভিজ্ঞ, খালেদ তার চতুর্থ টেস্ট খেলছে। এবাদত সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। সেও খেলেছে মোটে ১২ ম্যাচ। তার শেষ ম্যাচটাও তিন-চার মাস আগে। তারা একটু নার্ভাস ছিল, আশা করি বাজে প্রথম সেশন থেকে ছেলেরা শিক্ষা নেবে।’