জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, ‘দেশের মানুষ সীমাহীন অর্থকষ্টে আছে। অপরদিকে একদল মানুষ টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছে না। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সরকার তাদের তালিকা প্রকাশ করছে না।’ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
বিদেশে টাকা পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করে জিএম কাদের বলেন, ‘মনে হচ্ছে সরকার পাচারকারীদের সহায়তা করছে। মানুষের মাঝে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে। যারা মানুষের কষ্টে চুপ করে থাকে তাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে হারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, তা জনগণের জন্য বোঝা। দ্রব্যমূল্য কমাতে অন্যান্য দেশের মতো রেশনিং ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বড়লোক, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির রেশনিং আলাদা আলাদা করতে হবে।’
আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার উন্নয়ন করছে সত্য, তবে এর সুফল পাচ্ছে না জনগণ। এখন রমজান মাস। তাই আমরা কোনও কর্মসূচি রাখলাম না। ঈদের পরে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এক বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এ নিয়ে আমরা ঈদের পরে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি গ্রহণ করবো।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। এ ছাড়াও ইফতার মাহফিলে অংশ নেন রাউজান আসনের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ।