Image default
বাংলাদেশ

ইন্দুরকানীতে নির্যাতিত গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামী-শাশুড়ি আটক

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী হৃদয় হাওলাদার ও শাশুড়ি জেসমিন বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত সুমী আকতার (১৭) ইন্দুরকানী উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের প্রবাসী সাহিদা বেগমের মেয়ে।. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক।

নিহত সুমীর নানা সাকায়েত ফরাজী বলেন, ইন্দুরকানী উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদারের (১৮) সঙ্গে আমার নাতি ও সুমী আকতারের (১৭) প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ সুবাদে প্রায় এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-কলহ লেগেই থাকত।

তিনি আরও বলেন, সুমীকে তার মায়ের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কেনার টাকা আনতে বলেন শাশুড়ি। টাকা না আনায় তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে ঘরের মধ্যে আটকে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ফলে সুমীর মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় হৃদয়ের পরিবার। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ নিয়ে তারা দ্রুত বাড়িতে ফিরে আসেন।

হত্যার অভিযোগের বিষয়ে সুমীর শ্বশুর ফারুক হাওলাদার বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য হলে ঘরে থাকা চালের পোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমী, যৌতুকের জন্য নয়।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় নিহত সুমীর নানা সাকায়েত ফরাজী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে সুমীর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদকে আসামি করে ইন্দুরকানী থানায় হত্যার লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরপরই তার স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

Related posts

‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ জাদুঘর যেন ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি

News Desk

সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব

News Desk

দাবির পরও মেলেনি জেলেদের প্রত্যাশিত বরাদ্দ

News Desk

Leave a Comment