পূর্ব ইউরোপজুড়ে আট হাজার সেনা মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পর শক্তি দেখানোর সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন সেনারা। আজ শুক্রবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় যুক্তরাজ্য। খবর এএফপির।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফিনল্যান্ড থেকে উত্তর মেসিডোনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত মাসব্যাপী ওই সামরিক মহড়ায় ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রের মতো মিত্ররাও অংশ নেবে। . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
এই মহড়ায় ব্রিটেনের ৭২টি চ্যালেঞ্জার, ২টি ট্যাংক, ১২০টি সাঁজোয়া যানের সঙ্গে আর্টলারি গানও মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সামরিক অনুশীলনে থাকবে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ও ড্রোন। এসব যানের অনেকগুলোই এরই মধ্যে রওনা হয়ে গেছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ‘ইউরোপের নিরাপত্তা কখনোই এত গুরুত্ব পায়নি।’ শীতল যুদ্ধের পরে এটা অন্যতম বড় যৌথ সেনা মোতায়েন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এই সেনাদলের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রালফ উডিসি বলেন, ‘ইউরোপের নিরাপত্তা ও রাশিয়ার আগ্রাসনে বাধা দিতে ব্রিটেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক মহড়াগুলো সবার জন্যই অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য। দেশটি জানিয়েছে, তারা সহযোগী দেশ যেমন পোল্যান্ডের মাধ্যমে ট্যাংক ও উড়োজাহাজ দিয়েও ইউক্রেনকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। এর আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস মন্তব্য করেছিলেন, পুরো ইউক্রেনকেই স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া উচিত। এমনকি ক্রিমিয়াকেও। ২০১৪ সালে রাশিয়া যে উপদ্বীপটি দখল করে নেয়।