মাত্র কয়েকদিন পরই আসছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। দেখা মিলবে আম-লিচুসহ সুস্বাদু ও রসালো বিভিন্ন ধরনের ফল। তবে দিনাজপুরের হিলির বাজারে আগেভাগেই দেখা মিলছে লিচুর। পরিপক্ক না হলেও নতুন ফল হিসেবে অনেকে কিনছেন। কেউ কেউ না কিনে ফিরেও যাচ্ছেন।
রবিবার (৮ মে) হিলি বাজারের পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড়ে লিচুর পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে ভুট্টু মিয়া নামে এক বিক্রেতাকে। ১০০টি মাদ্রাজি জাতের লিচু ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। গত তিন চার দিন ধরে একই স্থানে লিচু বিক্রি করছেন তিনি।
লিচু বিক্রেতা ভুট্টু মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিবছর দিনাজপুরসহ আশপাশের অঞ্চলের বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করে হিলি বাজারে বিক্রি করি। এসব লিচু পরিপক্ক হতে এখনও ১৫ থেকে ২০ দিন লাগবে। তবে পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবি উপজেলার কিছু অঞ্চলের বাগান মালিক বাড়তি লাভের আশায় লিচুতে ঠিকমতো রঙ না আসতেই ও পরিপক্ক না হতেই বিক্রি করছেন। নতুন ফল হিসেবে বাজারে চাহিদা থাকায় আমরাও বাগান থেকে এসব লিচু কিনে বাজারে বিক্রি করছি।’
তিনি জানান, ‘বাগান থেকে ১৬০টাকা প্রতি শ’ কিনে বাজারে ২০০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে এখনও এসব লিচু মিষ্টি হয়নি। এ কারণে যারা কেনার আগে খেয়ে দেখছেন, তারা অনেকেই কিনছেন না। আবার দুই-একজন নতুন ফল হিসেবে কিনছেন।’
ক্রেতা নুরে আলম বলেন, ‘আজকে (রবিবার) বাজার শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রথম লিচু চোখে পড়লো। মৌসুমের নতুন ফল হিসেবে ছেলেমেয়েদের জন্য কয়েকটা কিনলাম। লিচু মিষ্টি না টক হবে জানি না। তারপরও মৌসুমের নতুন ফল হওয়ায় কিনলাম।’
পথচারী ফারুক হোসেন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে এই বছরে প্রথম লিচু দেখে কিনতে ইচ্ছা হলো। কিন্তু লিচু কেনার আগে একটি লিচু খেয়ে দেখি টক। খাওয়ার উপযোগী হয়নি। এসব লিচু খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই না কিনে চলে এসেছি।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন লিচু পুরোপুরি পরিপক্ক হয়নি। লিচু পাকতে আরও কিছুদিন লাগবে। তাপদাহে কিছু লিচুর গায়ে রঙ ধরলেও এগুলো পরিপক্ক হয়নি। এসব লিচু খেলে মানুষের পেটে নানারকম সমস্যা হতে পারে। তাই অপরিপক্ক লিচু কেউ যাতে বিক্রি বন্ধ করতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’