প্রতীকী ছবি
শ্রীলঙ্কার সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী প্রাণে বাঁচতে মঙ্গলবার বিকেলে শ্রীলঙ্কার নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখন তারই খোঁজে বিক্ষোভকারীরা দেশটির নৌঘাঁটিকে টার্গেট করেছে।
সোমবার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাহিন্দা পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও দেশব্যাপী বিক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এক এমপিসহ আটজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা। সেই সঙ্গে দেশটিতে কোথাও লুটপাট, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর কিংবা অন্যের ওপর হামলা করতে দেখলে নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
এমতাবস্থায় দেশটির বেসামরিক লোক কারফিউ ভঙ্গ করে বিক্ষোভ করে চলেছে। মাহিন্দা রাজাপাকসের খোঁজে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার নৌঘাঁটিকে টার্গেট করে ঘিরে রেখেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া এক ফুটেজে সেখানে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীকে জড়ো হতে দেখা যায়।
এদিকে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলের নেতারা প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের সামনে অবরোধ করে আছেন। তারা প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করছেন। তাদের ভাষ্য, গোটাবায়া পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ থামবে না।
সোমবার মাহিন্দা রাজাপাকসেসহ শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন এমপি-মন্ত্রী এবং সরকার সমর্থকদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি।
গত এক মাস ধরে শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে গণরোষ বিক্ষোভে পরিণত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে অপরিণামদর্শী উন্নয়ন প্রকল্পে হাত দেয়ার কারণেই দেশটিতে এ বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে।
ডি- এইচএ