জমে উঠেছে আইপিএলের প্লে-অফে উঠার লড়াই। একমাত্র দল হিসেবে সবার আগে শেষ চার নিশ্চিত করেছে গুজরাট টাইটান্স। কোনো অঘটন না ঘটলে লখনউ সুপার জয়ান্টও প্লে-অফে চলে যাবে। বাকি দুটি পজিশনের জন্য এখন লড়াইয়ে রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, দিল্লি ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংস। আর প্লে-অফের দৌড় থেকে এরই মধ্যে ছিটকে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস।
১২ ম্যাচে সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের পাঁচে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এ দলেই খেলছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এতে ৭.৬৩ স্ট্রাইক রেটে উইকেট শিকার করেছেন ৮টি। কিন্তু তিন ম্যাচে তিনি একাদশে ছিলেন না। তার বদলি খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান আনরিখ নর্টজে। মুস্তাফিজের মতো ইকোনোমিক্যাল না হলেও নিয়মিতই উইকেট শিকার করছেন প্রোটিয়া এই পেসার। সঙ্গে তার বলে বেশ গতিও রয়েছে।
গ্রুপ পর্বে দিল্লির আর দুটি ম্যাচ রয়েছে। শেষ চার নিশ্চিত করতে হলে ম্যাচগুলো জেতা ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। এমন অবস্থায় বাকি দুটি ম্যাচেও নর্টজেকে খেলানোর বেশি সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হবে মুস্তাফিজকে। তাছাড়া বিদেশি কোটায় খেলা ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের থাকা নিশ্চিত। গতকাল রাজস্থানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক তারাই। মিডল অর্ডারে বেশ কয়েকটি ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছেন রোভম্যান পাওয়েলও। তারও একাদশে থাকা নিশ্চিত।
নর্টজেকে গত মেগা নিলামে তুলেনি দিল্লি। তাকে রিটেইন করে রেখে দেয়। ফলে তাকে এবার প্রতিটি ম্যাচ যে খেলাবে তা আগে থেকেই ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু ইনজুরির কারণে তিনি প্রথম দিকে ম্যাচ খেলতে পারেননি। সে কারণেই মূলত টানা ৮টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মুস্তাফিজ। এর বাইরে ফ্রাঞ্জাইজিটিতে বাঁহাতি পেসার বেশ কয়েকজন। দেশি প্লেয়ার রয়েছে খলিল আহমেদ ও চেতন সাকারিয়া এবং বিদেশি কোটায় দক্ষিণ আফ্রিকান লুঙ্গি এনগিদি। বোলিং ইউনিটে এখন দেশিদের ওপরই বেশি ভরসা রাখছে আইপিলের দলগুলো।