সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকার মধ্যে অন্যতম হলো কোম্পানীগঞ্জ। বর্তমানে এই উপজেলার সড়কসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পানির নিচে তলিয়ে আছে। অধিকাংশ গ্রামই প্লাবিত। এমন দুঃসময়ে শনিবার (২১ মে) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার থানার বাজারে ত্রাণ বিতরণ করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরপরই ত্রাণ না পাওয়া কয়েকজন কয়েকটি ত্রাণের প্যাকেট নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কোম্পানীগঞ্জের বন্যাদুর্গত মাহফুজ মিয়া দাবি করেন, ‘আমার হাতে ত্রাণ দিয়ে ফটো তোলার পরই প্যাকেটটি কেড়ে নেন আয়োজকরা। অনেক আশা নিয়ে ত্রাণ নিতে এসেছিলাম, কিন্তু পরে পুলিশ যা করছে তা আমাদের অবাক করেছে। ত্রাণ নিতে এসে পুলিশে লাঠির আঘাত পেয়েছি।’
জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জে এবার পাহাড়ি ঢলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি থাকলেও মন্ত্রী যে ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলেন- ত্রাণ নিতে আসা মানুষের তুলনায় সেটি অনেক কম ছিল। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর মানুষজন কাড়াকাড়ি শুরু করেন।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসি কান্ত হাজং দাবি করেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বন্যাদুর্গত ছয় ইউনিয়নের ২০০ পরিবারের মধ্যে চালসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে মন্ত্রী প্রায় ১৮০টি প্যাকেট বিতরণ করে চলে গেলে কয়েকটি প্যাকেট থেকে গেলে তা নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। এতে আমাদের দুজন শ্রমিক একটু আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পুলিশ এ সময় কাউকে লাঠিপেটা করেনি।’
লাঠিপেটার অভিযোগ ‘সত্য নয়’ জানিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘মন্ত্রী ত্রাণ বিতরণ করে যাওয়ার পর কয়েকজন মিলে কাড়াকাড়ি শুরু করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখানে লাঠিপেটার কোনও ঘটনা ঘটেনি।’