হবিগঞ্জেও চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা
বাংলাদেশ

হবিগঞ্জেও চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এতে কষ্টে দিন পার করছেন সিলেট বিভাগের এই দুই জেলার মানুষ। এবার বন্যা চোখ রাঙাচ্ছে হবিগঞ্জের দিকে। কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ায় জেলাটির নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনও সময় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যেতে পারে ভিটেমাটি। ইতিমধ্যেই কুশিয়ারা নদীঘেঁষা দীঘলবাক ইউনিয়নের মাধবপুর ও গালিমপুর বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি রয়েছেন কয়েক শতাধিক পরিবার। বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে অনেকে। রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। প্রশাসনও নিয়মিত নজরদারি করছে।

জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে কুশিয়ারার তীরবর্তী দীঘলবাক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের মাঝে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ মেরামতে ইতিমধ্যে ফেলা হচ্ছে বালুভর্তি ব্যাগ।

এদিকে, রবিবার (২২ মে) দুপুরে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, জেলা প্রকৌশলী আব্দুল বাতির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বীর আহমেদ, হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন, দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালিক মিয়া নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

রাধাপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ বলেন, ‘চার দিকে বন্যা, হঠাৎ নদীর পানি বাড়ায় আমরা ভয়ে আছি। সময় যত যাচ্ছে পানিও বাড়ছে। গত বছর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত করায় এখনও বাড়িঘরে পানি ওঠেনি।’

ফাদুল্লা এলাকার রহিম মিয়া বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কিছু অংশ দেবে গেছে। পানি একেবারে বাঁধের সঙ্গে লেভেল হয়ে আছে। পানি আরেকটু বাড়লে ফাদুল্লাহসহ আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।’

এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি আগের চেয়ে এক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতে বালুভর্তি ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’

এলাকা পরিদর্শনে প্রশাসন

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। নিয়মিত আমাদের গ্রাম পুলিশসহ জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।’

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘বন্যা প্রতিরোধে বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোথাও বাঁধ ভেঙে গেলে ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানানোর জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীঘলবাকের মাধবপুর গালিমপুরে কিছু অংশে পানি উঠেছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’

Source link

Related posts

সাতক্ষীরায় করোনায় আরও ৯ জনের মৃত্যু

News Desk

দেশে করোনায় চার কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত

News Desk

চট্টগ্রামে মানববন্ধনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

News Desk

Leave a Comment