বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপনে আগ্রহী ভারত
বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি সাইবার সুরক্ষা এবং উভয় দেশের আর্থিক লেনদেনে ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম (আইডিটিপি) তৈরিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। ইতোমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক আইডিটিপি বাস্তবায়নের প্রস্তাবনাটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ হাইটেক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে বৈঠককালে ভারতের হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো নিবিড় করতে নানা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। এছাড়া হাইটেক পার্কগুলোর কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এসময় দেশের ৬৪টি জেলায় বাংলাদেশ-ভারত এডুটেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপন এবং স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করা হয়।
এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে আগরতলা সফরের ইতিবাচক অভিজ্ঞতার জন্য ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন সময় পারস্পরিক সহযোগিতার। আমি চাই আগামীতে উভয় দেশের আইসিটি খাতে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় আরো বাড়বে। অংশীদারিত্ব আরো সুদৃঢ় হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম পরীক্ষিত দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সফটওয়্যার কমিউনিকেশন ও ডিজিটাল ট্রানজেকশন ও স্টার্টআপ এবং এডুকেশনের ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরো বাড়ানো প্রয়োজন।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, আমাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে স্টার্টআপ, সাইবার সুরক্ষা এবং ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মতো ভবিষ্যতমুখী প্রযুক্তি এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল সল্যুশন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে অনেকদূর এগিয়ে যেতে চাই।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ আইসিটি বিভাগ ও হাইটেক পার্কের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।