সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে সফলভাবে আলো জ্বালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সবগুলো ল্যাম্পপোস্টের বাতি একসঙ্গে প্রজ্বালন করা হয়।
এতে পুরো পদ্মা সেতু আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে। রাতের আঁধার নেমে আসতেই সড়কবাতির ঝলকে আলোকিত হয়ে ওঠে প্রমত্তা পদ্মাও।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম সেতুর উভয় প্রান্তে সবগুলো ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছে। এর আগে কয়েকটি ধাপে পরীক্ষামূলকভাবে জেনারেটরের মাধ্যমে আলো প্রজ্বলন করা হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু আলোকিত হবে। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মাওয়া প্রান্তে সেতুর প্রথম পিলার থেকে তিন দশমিক সাড়ে সাত কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন সংযুক্তের কাজ শেষ করেছে মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লৌহজং জোনাল অফিস।
অপরদিকে, জাজিরার নাওডোবা প্রান্ত থেকে তিন দশমিক সাড়ে সাত কিলোমিটার সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সেতু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে গত ৩০ মে পদ্মা সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ করেছে দুই জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
৪১৫টির মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮, জাজিরা প্রান্তের উড়ালপথে ৪৬ ও মাওয়া প্রান্তে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল ল্যাম্পপোস্টে বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। এরপর সেতুতে ক্যাবল টানা হয়। গত বছরের ২৫ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল।