কুষ্টিয়া থেকে সকাল ৭টায় ২৬টি গরু নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ট্রাকচালক মো. ঝন্টু। পদ্মী নদী পার হতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছান সকাল ১০টায়। ৫ নম্বর ফেরিঘাটে তার সঙ্গে কথা হয়।
ঝন্টু বলেন, ‘গত বছর গরু নিয়ে এই নৌপথে নদী পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করেছি। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে অনেক গরু ট্রাকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু এবার পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ কম। তাই সরাসরি ফেরিতে উঠতে পেরেছি। কোথাও কোনও সিরিয়ালে থাকতে হয়নি। আশা করছি, নদী পার হয়ে রাত ৮টার মধ্যে সিলেটে গরু নিয়ে পৌঁছাতে পারবো।’
ট্রাকে থাকা গরুর ব্যবসায়ী আরব আলী বলেন, ‘এবার গরু কেনার ক্রেতা খুবই কম। সেজন্য কুষ্টিয়া থেকে গরুগুলো নিয়ে সিলেটে বিক্রির উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। গতবার ঘাটে নদী পার হতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এবার স্বস্তিতে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পেরেছি।’
মেহেরপুর থেকে ঢাকাগামী পশুবাহী আরেক ট্রাকচালক মো. ইউসুফ বলেন, ‘পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে তেমন যানজট নেই। ঘাটে এখন আর বসে থাকা লাগে না। অতিরিক্ত টাকাও লাগে না। ভোরে মেহেরপুর থেকে রওনা হয়ে ১১টায় ঘাটে এসেছি। সরাসরি ফেরি পাওয়ায় অনেক ভালো লাগছে।’
গরু ব্যবসায়ী মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছরই যানজটের কারণে গরু নিয়ে তীব্র গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য সড়কে আটকা থাকতে হয়েছে। গরমে অনেক গরু মারাও গেছে। এবার যানজট নেই, দুর্ভোগও নেই। ঘাটে এসেই সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছি। গরুগুলোর কোনও কষ্ট হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘ভোগান্তি ও যানজট কমাতে আমরা সব সময় কাজ করছি। গরুর গাড়ি, কাঁচামাল ও যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। বর্তমানে এই নৌপথে ১৬টি ছোট-বড় ফেরি চলাচল করছে।’