ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সেই সঙ্গে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজাতেও যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে কেরানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসেওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা ও মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় যানবাহনের চাপ দেখা দেয়। একসঙ্গে অনেক গাড়ির চাপের কারণে টোল প্লাজার আশপাশে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। তবে গাড়ির ধরন অনুযায়ী টোল আদার লাইন নির্দিষ্ট করায় অল্প সময় অপেক্ষা করে সেতু পার হতে পারছে যানবাহন।
অপরদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের কোনও ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়নি। এই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ভোর থেকেই যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই বেশি। সেতু কর্তৃপক্ষ নির্বিঘ্নে টোল আদায় ও পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়া নিশ্চিতে অধিক লোকবল ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক হাসিবুর রহমান জানান, একসঙ্গে অনেক গাড়ি আসাতে একটু চাপ বেড়েছে। তবে এটা স্বাভাবিক। বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ির লাইন আলাদা করায় নির্বিঘ্নে টোল দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে পারছে।
বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম জানান, টোল আদায়ের জন্য রাতভর পাঁচটি লাইন সক্রিয় থাকলেও ভোর থেকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। ছোট ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা থেকে মাওয়ামুখী সাতটি লেন এবং মাওয়া থেকে ঢাকামুখী তিনটি লেন চালু রয়েছে। তবে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় কী পরিমাণ গাড়ি অপেক্ষায় রয়েছে বা কত কিলোমিটারজুড়ে গাড়ির ধীরগতি তা বলা মুশকিল।