ভাইরালের নেশা বড় কঠিন নেশা! এই অনলাইনের জমানায় এসে যে যেভাবে পারছে মেতেছে ভাইরাল হওয়ার প্রতিযোগিতায়। যে কোনোভাবেই হোক আসতে হবে আলোচনায়। তবে একবার ভাইরাল হয়ে গেলে শুধু যে পরিচিতিই বাড়ে তা তো নয়। সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও আছে অনেক। নির্মাতা সেরনিয়াবাত শাওন নতুন যে নাটক বানিয়েছেন, তাতে আছে ভাইরাল হওয়ার এই নেতিবাচক পরিস্থিতির কথা।
নাটকের নাম ‘আমার কী দোষ’। সেরনিয়াবাত শাওনের সঙ্গে যৌথভাবে এ নাটকের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রাসেল আজম। অভিনয় করেছেন সাফা কবির, খায়রুল বাসার, এলিনা শাম্মী, আশুতোষ সুজন প্রমুখ।
ভাইরাল প্রবণতা ছাড়াও ‘আমার কী দোষ’ নাটকে দেখানো হয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শহরের বাসে, ভীড়ে, ফুটপাতে, ওভারব্রিজে প্রায়ই নারীদেরকে হেনস্থার ঘটনার কথা শোনা যায়। একশ্রেণীর বিকৃত মানসিকতার লোক সুযোগ বুঝে নারীদেরকে বিরক্ত করে। গোপনে টাচ করে পালিয়ে যায়।
ঠিক এমন এক পরিস্থিতিতে পড়ে ‘আমার কী দোষ’ গল্পের নায়িকা অবন্তি (সাফা কবির করেছেন এ চরিত্র)। এক যুবক ইচ্ছাকৃতভাবে টাচ করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ করে সে। যুবকটি ক্রমাগত অস্বীকার করতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়।
দূর থেকে এই জটলা দেখে কৌতুহলী হয় রাফি (এ চরিত্র করেছেন খায়রুল বাসার)। সেও আগ্রহ নিয়ে দেখতে থাকে অবন্তির ঘটনা। অনেকেই ভিডিও করে। সে সব ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের নামকরা এক ইউটিউবার অবন্তির ভাইরাল ভিডিওকে উপজীব্য করে কনটেন্ট বানায়। তার কনটেন্টের বিষয় ঘটনার সময় আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতা। এই ফাঁদে পড়ে যায় গল্পের নায়ক রাফি।
নির্মাতা সেরনিয়াবাত শাওন জানিয়েছেন, দীপ্ত টিভিতে ঈদের চতুর্থ দিন রাত ১১টায় দেখা যাবে ‘আমার কী দোষ’ নাটকটি।