পাঞ্জাব প্রদেশের পার্লামেন্টে প্রাদেশিক আইন প্রণেতারা। ছবি: ডন
পকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সংসদে ভোট কম পেয়েও প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শরিফ।
পাঞ্জাব প্রদেশের সংসদে বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা মুখ্যমন্ত্রী পদে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিলেও ডেপুটি স্পিকারের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে ফল উল্টে যায়।
পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী থেকে ৭ ভোট কম পেয়েছিলেন হামজা। তবে বিরোধী প্রার্থীর বাক্সে পড়া ১০ ভোট ডেপুটি স্পিকার বাতিল করে দিলে পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থী হামজাই জয়ী বলে ঘোষিত হন।
দেশটির জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পদের ভোটে পিটিআই সমর্থিত চৌধুরী পারভেজ ইলাহি ৩৭১ সদস্যের পার্লামেন্টের ১৮৬ জনের সমর্থন নিশ্চিত করেছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হামজা শাহবাজ পান ১৭৯ ভোট।
পিটিআই প্রার্থী করেছিল পাকিস্তান মুসলিম লীগ কায়েদে আজমের (পিএমএল-কিউ) ইলাহিকে। দলটির প্রধান সুজাত হোসেন তার দলের পার্লামেন্ট সদস্যদেরকে হামজাকে ভোট দিতে বলেছিলেন।
সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে পিএমএল-কিউর পার্লামেন্টারি দলের ১০ সদস্য ইলাহিকে ভোট দেন। সে কারণে পাঞ্জাব পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার এই দশজনের ভোট বাতিল করে দেন।
পিটিআই এবং তাদের শরিকরা ডেপুটি স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
পিটিআইয়ের দাবি, সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টারি দলের সিদ্ধান্তে অন্য কারও হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। তাই ডেপুটি স্পিকার ওই ১০ সদস্যের ভোট বাতিল করতে পারেন না।
ইমরান এ ঘটনায় সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দেখাতে বলেছেন। আদালতে এর ফয়সালা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার রাতেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।