মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। ফাইল ছবি
মিয়ানমার জান্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। দেশটির গণতন্ত্রপন্থী ও নির্বাচিত নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তীব্র সমালোচনা করে দুই দেশ।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের গণতন্ত্রপন্থি নেতাকর্মী ও নির্বাচিত নেতাদের জঘন্যতম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে মিয়ানমারের নির্বাচিত দুই নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, এটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’। এর মাধ্যমে সংঘাত মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। খবর রয়টার্সের।
এছাড়া, জাতিসংঘ থেকেও মিয়ানমার জান্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রু বলেন, ‘মিয়ানমারের দেশপ্রেমিক এবং মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়নদেরকে জান্তা সরকারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবরে আমি ক্ষুব্ধ ও বিধ্বস্ত। তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জন এবং প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারের আপামর জনগণ, যারা জান্তা সরকারের ক্রমবর্ধমান নৃশংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।
‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালাতে সহায়তা করার দায়ে অভিযুক্ত চার গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত মিয়ানমারের ছায়া প্রশাসন ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এ মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বিরোধীদের ওপর নিষ্ঠুর দমন, পীড়ন চালানো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিলিশিয়াদের লড়াইয়ে সহায়তা করার দায়ে ওই চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক রুদ্ধদ্বার বিচারে তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়।
ডি- এইচএ