ফাইল ছবি।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের ৪৭ জনই শিশু। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকার জনগণকে ‘ছেড়ে যাবে না’ বলে অঙ্গীকার করেছে।
খবর: জিও নিউজ।
স্থানীয় প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রদেশটিতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বন্যায় বিস্তৃত অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বন্যায় মৃত ১৩৬ জনের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ, ৪৭ শিশু ও ৩৩ জন নারী রয়েছেন। বন্যায় আরও ৭০ জন আহত হয়েছেন।
পিডিএমএ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃষ্টিতে ১৩ হাজার ৫৩৫টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪০৬টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মুষলধারে বৃষ্টিতে ১৬টি সেতু এবং ৬৪০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আকস্মিক বন্যায় ২০ হাজারের বেশি গবাদিপশু মারা গেছে। আটটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ লাখ ৯৮ হাজার একর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র ফারাহ আজিম শাহ জিও নিউজকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রেও ঝড়বৃষ্টি আঘাত হেনেছে। এই প্রদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। উদ্ধার অভিযানে সময় লাগবে
এই মুখপাত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বেলুচিস্তান পরিদর্শন করেছেন। কর্তৃপক্ষ জনগণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে চায়। এ জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে প্রাদেশিক সরকার।
ফারাহ আজিম বলেন, আসছে মাসগুলোতে বৃষ্টি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপর নির্ভর করছি এবং জনগণকে ছেড়ে যাব না।’
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটা পৌঁছেছেন। তিনি দুই দিন আগেও একবার বেলুচিস্তান সফর করেছিলেন।
টিএপি