পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারতা তেমিদো। ছবি: সংগৃহীত
পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারতা তেমিদো পদত্যাগ করেছেন। একজন ৩৪ বছর বয়সী গর্ভবতী ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি পদত্যাগ করেন। ৩০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী আন্তনীয় কস্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মারতা।
অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, স্বাস্থ্য খাতের পেশাজীবীদের বেতন ভাতা, কাজে বাধ্যবাধকতা এবং পেশাগত স্বীকৃতির বিষয়ে সরকারের সাথে দফায় দফায় বৈঠক এবং এ বিষয়ে সমস্যার সমাধান না হওয়াসহ ২৯ আগস্ট চিকিৎসা অবহেলার কারণে এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর পর তিনি পদত্যাগ করেন বলে এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।
দেশে প্রবল সমালোচনার মুখে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছরের এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণী ভারত থেকে পর্তুগালে ঘুরতে গিয়েছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার পর্তুগালের এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ঘুরতে হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।
তার মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর মারতার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারণ কয়েকদিন আগেই চিকিৎসকের অভাবে পর্তুগালে প্রসূতি বিভাগের জরুরিকালীন পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মারতা। সেই জন্যই ওই ভারতীয় পর্যটক চিকিৎসা পাননি বলে জানা গেছে। সেই কারণেই অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু হয় বলে দাবি করছেন অনেকে।
অবশ্য পর্তুগালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তা নিয়ে ক্ষোভ ছিল। ভারতীয় অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর মৃত্যু সেই ক্ষোভকেই আরও উসকে দেয়। সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন তিনি।
মারতা তেমিদো ২০১৮ সালের অক্টোবরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। করোনা মহামারিকালে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যখন স্বাস্থ্য খাতের সাথে অর্থনীতির সমন্বয় করতে ব্যর্থ ছিল, সেখানে তিনি পর্তুগালের স্বাস্থ্য খাতের সবগুলো বিষয় সাফল্যের সাথে সমাধান করেন। ফলে তিনি সরকারের মন্ত্রিসভা এবং জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
এনজে