একদিন বাদেই এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। কাকতালীয়ভাবে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচেও আজ মুখোমুখি দুই ফাইনালিস্ট পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা। ফাইনালের আগেই ফাইনালের মহরায় আগে ব্যাট করে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। ১৯.১ ওভারে ১২১ রানেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেলরূপী এই ম্যাচে টস জিতে পাক্ বোলিংয়ে পাঠায় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। দুবাইয়ের স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরু থেকেই লঙ্কান বোলাররা চেপে ধরে পাক ব্যাটসম্যানদের। ফাইনালের প্রতিপক্ষের সামনে লঙ্কান বোলাররা নিজেদের বেশ ভালোভাবেই শানিয়ে নিলো।
প্রথম তিন ওভারে বেশ ভালোই রান তুলেছিলো পাক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান আর বাবর আজম। লঙ্কান বোলারদের উৎযাপনের শুরু চতুর্থ ওভারে এসে। ৩.৩ ওভারে এসে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১৪ বলে ১৪ রান করা ওপেনার রিজওয়ানকে ফেরান টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া প্রমদ মাদুশান।
২৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ফখর জামানকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম। তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি তারা। ৯.২ ওভারে করুনারত্নের বলে ফখর আউট হলে দলীয় ৬৩ রানে ভাঙে এই জুটি। ফখর ফেরেন ১৮ বলে ১৩ রান করে।
পরের ওভারেই বাবরকে ফেরান ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। ২৯ বলে ৩০ রান সাজঘরে করেই ফেরেন পাক অধিনায়ক। দলের রান তখন ৬৮। এরপর ইফিতিখার আহমেদ বাঁ কুশদিল শাহ, বলার মতো কিছু করতে পারেননি কেউই।
ছয় নাম্বারে নামা মোহাম্মদ নেওয়াজ চেষ্টা করেছিলেন দলে এগিয়ে নেওয়ার। তবে পাননি যোগ্য সঙ্গ। শেষের চার ব্যাটসম্যানের দুইজন আউট হয়েছেন শুণ্য রানেই। ১৮ বলে ২৬ রান করে নেওয়াজ যখন রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাকিস্তানের রান তখন ৯ উইকেটে ১২১। দুই বল পরেই হারিস রউফ ০ রানে আউট হলে ১৯.১ ওভারে ১২১ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান।
লঙ্কান্দের হয়ে তিন্টি উইএক্ট নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। আর দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মহেশ থিকসানা আর অভিষিক্ত প্রমদ মাদুশান,
সংক্ষইপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৯.১ ওভারে ১০ উইকেটে ১২১ (বাবর ৩০, নেওয়াজ ২৬; হাসরাঙ্গা ৪-০-২১-৩, মাদুশান ২.১-০-২১-২)