বীর চট্টলায় বীরের বেশে এসেছেন ওরা পাঁচজন। ছাদখোলা জিপে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে এসেছেন তারা। দুই পাশে তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরদের জয়ধ্বনি। কেউ তুলছেন বীরকন্যাদের ছবি। কেউবা আবার বাড়িয়ে দিচ্ছেন মোবাইল ফোন। সেই ফোনে তুলে দিচ্ছেন সেলফি। অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ছিল সবার আগে। বিকাল ৪টার আগেই জামালখান পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দৈনিক আজাদী আয়োজিত দক্ষিণ এশিয়া মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের (সাফ) অংশ নেওয়া বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ ফুটবলারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের চিত্র এটি। ‘আঁরার মাইয়া, আঁরার গর্ব’ শিরোনামে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা রাঙামাটির রূপনা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলার মনিকা চাকমা এবং যমজ দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী।
জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা মে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, বাফুফে উইম্যান্স উইনের সদস্য মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। সকল বক্তারা দেশের গর্ব নারী ফুটবলারদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জনের উদ্দীপনায় আরও প্রত্যাশা বেড়ে গেছে বলে গুরুত্বারোপ করেন।
ফুলের মালা গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় বীরকন্যাদের। হাজার হাজার জনতার মুহুর্মুহু করতালি ও বীরকন্যাদের নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে সংবর্ধনাস্থল। অনুভূতি জানান কৃতি ফুটবলাররা। কাটা হয় বড় একটি কেক। এরপর ব্যাপক উপহারসামগ্রীসহ তাদের হাতে অতিথিরা তুলে দেন সম্মাননার চেক।
এদিকে সকালে কৃতি ফুটবলারদের চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান আজাদী পরিবারের সদস্যরা।