ফাইল ছবি
রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বেড়ে ২ বছরের সর্বোচ্চে উন্নীত হয়েছে। গত মাসে উত্তোলন বেঁধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষা বলছে, নানামুখী প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লিবিয়ার উত্তোলন। এছাড়া মিত্র জোটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, উপসাগরীয় সদস্য দেশগুলো তাদের উত্তোলন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
এ বিষয়টিই উত্তোলন বাড়াতে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। গত মাসে ওপেকের সদস্য দেশগুলো দৈনিক ২ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে। আগস্টের তুলনায় উত্তোলন দৈনিক ২ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল বেড়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর এটিই সর্বোচ্চ উত্তোলন।
ওপেক এবং এর মিত্র দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস নামে পরিচিত। ২০২০ সালে বাজার নিয়ন্ত্রণে জোটটি ব্যাপক হারে উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু গত বছর জোটটি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এরপর থেকে প্রতি মাসেই জোটটি উত্তোলন বাড়াচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমছে। এ কারণে অক্টোবরে উত্তোলন বৃদ্ধির হার কিছুটা কমিয়েছে জোটটি।
চলতি সপ্তাহের শেষে ওপেক প্লাসের উত্তোলন বৃদ্ধিসংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে উত্তোলন বৃদ্ধির হার আরো কমানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে জোটটির লক্ষ্য প্রতি মাসে দৈনিক ১ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়ানো। এর মধ্যে দৈনিক ৬৪ হাজার ব্যারেলই আসবে শীর্ষ ১০ দেশ থেকে। গত মাস থেকে ওপেকের শীর্ষ ১০ দেশ ১ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়াচ্ছে। ১৩ সদস্য দেশ সম্মিলিতভাবে উত্তোলন বাড়িয়েছে দৈনিক ২ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল করে। এরপরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জোটটি সফল হয়নি। গত মাসে শীর্ষ ১০ দেশ সব মিলিয়ে দৈনিক ১৩ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে। আগস্টে উত্তোলনে ঘাটতির পরিমাণই ছিল দৈনিক ১৪ লাখ ব্যারেল।
এমকে