ঘড়ঘড় করে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভুটান গেট। তবে ওদিকে ড্রাগনভূমি তথা বজ্রড্রাগনের দেশের ফুন্টশোলিং জনপদ রোজকার মতো নীরব। শুধু ভারতের দিকে যাওয়া আসা বন্ধ। কারণ সীমান্তের এদিকে উত্তরবঙ্গে ভোট শুরু হলো। চতুর্থ দফা নির্বাচনে রাজ্যে যে ৪৪টি আসনে ভোট হচ্ছে তার অন্যতম আলিপুরদুয়ার জেলা।
আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ লাগোয়া ভুটানের ফুন্টশোলিং। দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতের অন্যতম প্রবেশপথ ভুটান গেট। থিম্পুর সংবাদপত্র ‘কুয়েনসেল’ জানাচ্ছে, “Due to the ongoing elections in Indian states of West Bengal and Assam, Phuentsholing border gate was closed yesterday and will open on April 10 evening” অর্থাৎ আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সড়কপথে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকবে ভুটান।
প্রতিবেশী দেশের সরকার জানিয়েছে, ভারতের দুটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের সময় আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়মমাফিক বন্ধ করা হয়। তাই পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার লাগোয়া দক্ষিণ ভুটানের সীমান্ত আপাতত বন্ধ। আর অসমের লাগোয়া জেলেফু সীমান্ত বন্ধ থাকছে।
ভারত ও চিনের মাঝে থাকা ভুটানের সঙ্গে ভারতের দিকের ৬৯৯ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এই আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিশে আছে অসমের ২৬৭ কিলোমিটার, অরুণাচল প্রদেশের ২১৭ কিলোমিটার, পশ্চিমবঙ্গের ১৮৩ কিলোমিটার ও সিকিমের ৩২ কিমি। ভুটানের দিকে পড়ছে সামদ্রুপজংখার, ফুন্টশোলিং, জেলেফুর মতো সেদেশের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ এলাকা। বিস্তির্ণ বনাঞ্চল, ছোট ছোট বসতি, খোলা সীমান্ত, ভুটান পাহাড় ও তোর্ষা, জলঢাকা, রায়ডাক, জশ্রন্তী নদীর দুপারে ছড়িয়ে আছে দুই দেশের সীমান্ত।
ভুটান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, নির্বাচনের জন্য সীমান্তপথ বন্ধ। রয়্যাল ভুটান আর্মি ও পুলিশের সতর্ক পাহারা চলছে। ভারতের দিকে নির্বাচন চলাকালীন অনুপ্রবেশ রুখতে সতর্ক করা হয়েছে সব সীমান্ত চৌকি। সীমান্তের এদিকে সতর্ক এসএসবি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে চালনা করতে টহল চনছে কেন্দ্রীয় বাহিনির।
থিম্পু থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতের দিকে ফের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে চিন্তা ভুটান সরকারের। গত বছর থেকে টানা করোনা প্রতিরোধে নজির গড়েছে ভুটান। এখনও পর্যন্ত্র সেদেশে করোনায় মৃত একজন। করোনা মোকাবিলায় ভুটান সরকারের ভূমিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য