ইউক্রেনের কাছ থেকে দখলকৃত চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংক্রান্ত আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সামরিক আইন জারি করা অঞ্চলগুলো হলো ডনেস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন।
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এই অঞ্চলগুলোতে মার্শাল ল জারির পাশাপাশি ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টা জোরদারের উদ্যোগ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
দখলকৃত অঞ্চলগুলোর জন্য একটি বিশেষ সমন্বয়কারী পরিষদ গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে পুতিনের মার্শাল ল জারির নিন্দা জানিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, পুতিনের এ সংক্রান্ত ঘোষণায় মাঠের চিত্র বদলে যাবে না। ইউক্রেনীয় বাহিনী দখলদারিত্বের নিগড় থেকে তাদের ভূখণ্ড উদ্ধার অব্যাহত রাখবে।
বুধবার সামরিক আইন জারি করা অঞ্চলগুলোর একটি খেরসন। মস্কোর কাছে হারানো গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। অঞ্চলটির পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ বাহিনীর কমান্ডার বলেছেন, খেরসনের পরিস্থিতি গুরুতর এবং সেখানকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে।
রুশ কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সরুভিকিন দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা হিমার্স ব্যবহার করে খেরসন শহরের অবকাঠামো লক্ষ্য করে আঘাত হানছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে রুশ বাহিনী। এর মধ্যেই বুধবার অঞ্চলটিতে মার্শাল ল জারির ঘোষণা দিলেন পুতিন। তবে সমালোচকরা বলছেন, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রাশিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক বিপর্যয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এই ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।