শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। এ জন্য শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়েছে। ফলে আইনপ্রণেতারা সংবিধান সংশোধন করবেন, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমিয়ে আনবেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা গত জুলাইয়ে সরকারবিরোধী তুমুল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। অর্থনৈতিক সংকটের জেরে খাবার ও জ্বালানিসংকটে ফুঁসে ওঠে দেশটির মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি ছিল, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমানো। সংবিধান সংশোধনে আইনপ্রণেতাদের এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবি মানার প্রক্রিয়া শুরু হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তুমুল গণ-আন্দোলনের মুখে জুলাইয়ে পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের। পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন তিনি। পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরলেও নিভৃতে জীবন কাটাচ্ছেন গোতাবায়া। তাঁর পদত্যাগের পর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। এর আগে বিভিন্ন সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।
তবে সমালোচকদের মতে, সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় রনিলের সরকারে গোতাবায়ার প্রভাব রয়েছে। মূলত এ কারণে শ্রীলঙ্কার রাজনীতি ও অর্থনীতিতে প্রভাবশালী রাজাপক্ষে পরিবারের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা রনিলের জন্য কঠিন হবে।