মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে জেট ফুয়েল বা উড়োজাহাজের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, ওই জ্বালানি ব্যবহার করে বেসামরিক লোকজনের ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
গত বছর থেকেই মিয়ানমারের অবস্থা টালমাটাল। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। তখন থেকেই দেশটিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের অনেকেই হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। তাঁদের দমন করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাই তাদের কাছে জেট ফুয়েল সরবরাহের কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।
জেট ফুয়েল না দেওয়ার আহ্বান অ্যামনেস্টির
গত বছরের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে জান্তা সরকার। এর জেরে বেসামরিক অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন অনেকে। যদিও জান্তা সরকারের দাবি, বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয় না। এগুলো ‘সন্ত্রাসীদের’ হামলার পাল্টা জবাব।
অ্যামনেস্টির এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০১৫ সাল থেকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুমা এনার্জি মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি জেট ফুয়েল সরবরাহ করেছে। পাশাপাশি এই জ্বালানি সরবরাহের সঙ্গে আরও কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান জড়িত।