দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগে খেলার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ছয় দলের এই টুর্নামেন্টের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অনুমতি না পাওয়ায় সে নিলামে অংশ নিতে পারেননি বাবর আজমরা। নিলামে অংশ না নিলেও ওয়াইল্ড কার্ড পদ্ধতির মাধ্যমে এ লিগে খেলার সুযোগ থাকছে তাঁদের সামনে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলামের বাইরে থেকে একজন ক্রিকেটার দলে ভেড়াতে পারবে।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এই পদ্ধতির মাধ্যমে পিসিবির চুক্তিতে না থাকা কমপক্ষে দুজন ক্রিকেটার এসএ–২০ লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে। পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদেরও এ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি করতে বাধা নেই।
সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ও এসএ–২০ লিগের কমিশনার গ্রায়েম স্মিথ বলেছেন, ‘আমরা ওয়াইল্ড কার্ড পদ্ধতিতে খেলোয়াড় নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আমরা দলগুলোকে অন্তত একজন ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ানোর অনুমতি দিচ্ছি। আমরা কাউকে নির্বাচন করে দিচ্ছি না। দলগুলো তাদের চাহিদা অনুসারে খেলোয়াড় নিতে পারবে।’
ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির কথা মাথায় রেখে এর আগে পিসিবি তাদের ক্রিকেটারদের এই লিগে খেলার অনুমতি দেয়নি। এই টুর্নামেন্টের সব কটি দলের মালিকই আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির। পিসিবির অনুমতি না দেওয়ার পেছনে এই কারণটাও শোনা গেছে। তবে ঠিক কী কারণে পিসিবি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সফর করার কথা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, সেই সফর স্থগিত হওয়ায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এই লিগে খেলার সুযোগ দিচ্ছে পিসিবি।
এসএ–২০ লিগের কাছাকাছি সময়েই মাঠে গড়াবে বিপিএল, বিগ ব্যাশ ও আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি–টোয়েন্টি। আরব আমিরাতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার অনুমতি দেয়নি পিসিবি।
দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগ শুরু হবে আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি।