টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১৬৯ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে ভারত।
অ্যাডিলেড ওভালে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের ইনিংসের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন লোকেশ রাহুল। ইনিংসের প্রথম বলেই বাউন্ডারি, এরপরও বেন স্টোকসের ওই ওভার থেকে এসেছে মাত্র ৬ রান।
দ্বিতীয় ওভারে ক্রিস ওকসের হাতে বল তুলে দেন বাটলার। ওভারের চতুর্থ বলে ভারতকে বিপদে ফেলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লোকেশ রাহুল। ৫ বলে ৫ রান করেই দলীয় ৯ রানে আউট হন রাহুল।
স্যাম কারানের তৃতীয় ওভার থেকে আসে মাত্র ১ রান। তখনও মনে হচ্ছিলো ভারতের জন্য ব্যাটিংয়ে নামাটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো।,
ঠিক পরের ওভারেই ইংলিশ বোলারদের পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন তিনে নামা বিরাট কোহলি। ক্রিস ওকসের ওভারের প্রথম বলেই কাভারের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে ভারতের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সূচনা করেন কোহলি।
পঞ্চম ওভারে স্যাম কারানকে টানা দুই চারে রানরেট বাড়ান অধিনায়ক রোহিতও। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আরও এক বাউন্ডারি দিয়ে ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩৮ রান তোলে ভারত।
এরপর ইনিংসের নবম ওভারে দলীয় ৫৬ রানে উইকেট হারায় ভারত। ২৮ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রোহিতের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ইনফর্ম ব্যাটার সূর্যকুমার। তবে আজ সুবিধা করতে পারেননি তিনি। শুরুটা ভালো করলেও তা ধরে রাখতে পারেননি। দলীয় ৭৫ রানে ১০ বলে ১৪ রান করে আউট হন সূর্য। ৭৫ রান ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত।
সূর্যের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বিরাট কোহলি। সাবলীলভাবে ব্যাটিং করতে থাকেন কোহলি।
ইনিংসের ১৮ তম জর্ডাবের ওভারে পর পর দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান হার্দিক পান্ডিয়া। পরের বল ডট দিয়ে ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নেন পান্ডিয়া। এরপর পঞ্চম বলে দুই রান নিয়ে ৩৯ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন বিরাট কোহলি। ফিফটির পরেই শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান কোহলি। দলীয় ১৩৬ রানে ৪০ বলে ৫০ রান করে সাজঘরে ফিরে যাব কোহলি।
কোহলির আউটের পর ক্রিজে আসেন ঋশভ পন্থ। ইনিংসের ১৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন তিনি। এর পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে হার্দিককে স্ট্রাইক দেন তিনি। ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন হার্দিক। পঞ্চম বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে বড় ছক্কা হাঁকান হার্দিক। এই ছয়ের মধ্য দিয়ে ১৫০ পেরোয় ভারত। ওভারের শেষ বলে স্টোকসের মিস ফিল্ডিংয়ে চার রান পায় হার্দিক। সেইসঙ্গে ২৯ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন হার্দিক।
ইনিংসের শেষ ওভার বল করতে আসেন ক্রিস জর্ডান। ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন পন্থ। এর পর দ্বিতীয় বলেও সিঙ্গেল নেন হার্দিক। ওভারের তৃতীয় বল ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন পন্থ। উইকেটরক্ষকের হাতে বল রেখেই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন পন্থ। ফের স্ট্রাইক পান হার্দিক। স্ট্রাইক পেয়েই ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে চার মারেন মারেন হার্দিক। এরপর ওভারের শেষ বলে চার মারেন হার্দিক। তবে তার আগে হার্দিকে পা লেগে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে যায়। ফলে হিট আউট হন হার্দিক। ৩৩ বলে ঝড়ো ৬৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে ভারত। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ক্রিস ওকস।