কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবার ভেসে আসছে প্রচুর মরা জেলি ফিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে সৈকতের কলাতলী, বড়ছড়া, দরিয়ানগর এলাকায় অন্তত শতাধিক মরা জেলি ফিশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এর আগে গত ৪ আগস্ট থেকে কয়েক দিন সৈকতের কয়েকটি স্থানে বিপুল জেলি ফিশ ভেসে এসেছিল। সাগরে কেন এত জেলি ফিশের মৃত্যু হচ্ছে, তার কারণ জানাতে পারছেন না কেউ।
পরিবেশ ও মৎস্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সাগরে মাছ ধরার ট্রলারের জাল কিংবা মা-চিংড়ি ধরার ট্রলিং জাহাজের জালে আটকা পড়ে জেলি ফিশের মৃত্যু হতে পারে। মৃত্যুর পর জোয়ারের পানিতে তা উপকূল কিংবা সৈকতে ভেসে আসছে।
আজ বেলা ১১টার দিকে সৈকতের কলাতলী ও দরিয়ানগর পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, শতাধিক মরা জেলি ফিশ বালুচরে পড়ে আছে। জোয়ারের পানিতেও কিছু জেলি ফিশ ভাসতে দেখা গেছে। স্থানীয় জেলে মামুনুর রশিদ (৪৫) বলেন, সকাল সাতটার দিকে তিনি সাগরে মাছ ধরতে নামলে পানিতে অসংখ্য জেলি ফিশ ভেসে আসতে দেখেন। স্থানীয় ভাষায় জেলি ফিশকে বলে ‘নুইন্যা’। নুইন্যা মানুষের শরীরে লাগলে চুলকানি হয়, শরীর অবশ হয়ে যায়। এ কারণে মানুষ নুইন্যার ধারেকাছে যান না।
সরেজমিনে ঘুরে এসে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, কলাতলী, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ সৈকতেও অনেক মরা জেলি ফিশ ভেসে আসছে। কিছু জেলি ফিশ বালুর নিচে চাপা পড়ছে। কিছু জেলি ফিশ বালুচরে পড়ে আছে। হঠাৎ এত বিপুলসংখ্যক জেলি ফিশ ভেসে আসার কারণ অনুসন্ধান জরুরি। তাঁর ধারণা, মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়েই জেলি ফিশের মৃত্যু হচ্ছে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলাতলী সৈকত থেকে বেশ কিছু জেলি ফিশের নমুনা সংগ্রহ করেন বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের নেতৃত্বে একদল মৎস্যবিজ্ঞানী। একেকটির ওজন ১০-১৮ কেজি। তাঁরা মরা জেলি ফিশ ভেসে আসার কারণ অনুসন্ধান করছেন।